ডেস্ক রিপোর্টার, ২১মার্চ।।
প্রত্যাশিত ভাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের পরিষদীয় নেতা হয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।তিনি একই সঙ্গে রাজ্য সিপিআইএমের সম্পাদক। জিতেন্দ্র বিরোধী দল নেতার দায়িত্ত্ব নিতেই নতুন প্রশ্ন চাগার দিচ্ছে বাম কর্মী – সমর্থকদের মধ্যে।
২০১৮ থেকে ২০২৩।এই সময়ে রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দল নেতার ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। রাজনীতিকরা বলেন, মানিক সরকার বিধানসভার মধ্যে সম্পূর্ন নিষ্প্রভ ছিলেন।একজন প্রকৃত বিরোধী দলনেতার ভূমিকা তিনি পালন করতে পারেন নি। বিধানসভার মধ্যে মানিক ছিলেন একে বারেই নিষ্ক্রিয়। এটা অতি বড় বাম সমর্থকরাও মেনে নিতে পারেন নি।

নৃপেণ চক্রবর্তী বিরোধী দলনেতার দায়িত্বে থাকাকালীন ৮৮- র জোট সরকারকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন। বিধানসভার বাইরে – ভিতরে নৃপেণ ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস – টিইউজিএস জোট সরকারের মাথা ব্যথার কারণ। তিনি ১৯৯৩ সালে সিপিআইএমকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন। একজন বিরোধী দলনেতা হিসাবে নৃপেণ চক্রবর্তী সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটেছিল।।কিন্তু নৃপেনের ভাব শিষ্য মানিক সরকার তার ছিটে ফোটাও করতে পারেন নি। স্বাভাবিক ভাবে ২৩- র নির্বাচনেও দল ক্ষমতার স্বাদ পায় নি। মানিক সরকারের এই ব্যর্থতা সবার কাছে স্পস্ট হয়ে যায়।২৩- র নির্বাচনে সিপিআইএমকে টপকে বিধানসভার বিরোধী দলের তকমা পেয়েছিল তিপ্রামথা। এই মুহুর্তে মথা সামিল হয়েছে সরকারে।স্বাভাবিক ভাবেই ভাগ্য খুলে গিয়েছে বামেদের। বিরোধী দলনেতার দায়িত্ত্ব পেয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আগামী দিনে বিরোধী দল নেতা হিসাবে বিধানসভায় কি ভূমিকা পালন করেন এটাই এখন দেখার বিষয়। জিতেন্দ্র কি পারবেন তার পূর্বসুরী নৃপেণ চক্রবর্তী মতো বিধানসভাতে ঝড় তুলতে? নাকি তিনি মানিক সরকারের মতো নিষ্প্রভ হয়ে যান। তবে দলের কর্মী – সমর্থকরা এখন জিতেন্দ্রর উপর ভরসা করে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।