ডেস্ক রিপোর্টার, ১২ফেব্রুয়ারি।।
               আগরতলা এমবিবি বিমান বন্দরে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় ক্লাব ভারত রত্ন সংঘের সভাপতির বিরুদ্ধে। ক্লাব সভাপতির নাম প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে সরাসরি এই অভিযোগ তুলেছেন গরীব বঞ্চিত লোকজন। তারা খুব শীঘ্রই দ্বারস্থ হবেন থানা পুলিশে। দীর্ঘ দিন ধরেই বিমান বন্দরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী গরীব মানুষের কাছ থেকে লুঠছেন অর্থ। এটা গোটা ঊষা বাজার চত্বরে ওপেন সিক্রেট। এই মুহূর্তে  ভয়ে সিটিয়ে ক্লাব সভাপতি প্রদ্যুৎ ধর বাজার চত্বরেও যেতে পারছেন না। আতঙ্ক থেকে পাগলের মতো প্রলাপ শুরু করেছেন তিনি। হামেশাই এয়ারপোর্ট থানায় ফোন করে প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী পুলিশকেও বিরক্ত করে থাকেন। পুলিশ তার এই কারসাজি বুঝতে পেরে উল্টে ধমক দিয়ে থানা চত্বর থেকে বের করে দিয়েছে। ঊষা বাজারে কান পাতলেই প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী সম্পর্কে শোনা যায় এসব উপাখ্যান।


এমবিবি বিমান বন্দরে বিভিন্ন সময়ে হাউজ কিপিং, লোডার, পার্কিং সহ বিভিন্ন কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে। এই সমস্ত কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই করা সংস্থা গুলি প্রাধান্য দিয়ে থাকে স্থানীয় বিধায়ক, মণ্ডল ও ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবকে। তারা স্থানীয় গরীব লোকজনকে এইসব কাজে নিয়োগ করে থাকে। এই ট্র্যাডিশন দীর্ঘ দিনের।
               নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় ক্লাব ভারত রত্ন সংঘও বিমান বন্দরে লোকজন নিয়োগ করে থাকে ঘুর পথে। ক্লাবে যখন যে কমিটি থাকে তারাই নিয়োগের হর্তাকর্তা  বিধাতা।স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান কমিটির সভাপতি প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী হাতেই কল কাটি।এলাকার গরীব লোকজনকে কাজ দেওয়ার জন্য ঘোষণা দেন ক্লাব সভাপতি প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী। ঊষা বাজার এলাকার এক অসহায় মহিলা অভিযোগ করেছেন, বিনিময়ে তিনি লোকজনের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে সরাসরি অর্থ দাবি করছেন। এবং নিচ্ছেন অর্থ। কিন্তু সবাইকে চাকরি দিতে পারছেন না তিনি। যারা চাকরী পায় নি, তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না ক্লাব সভাপতি।


ভূক্তভোগী গরীব লোকজনের অভিযোগ, তারা টাকা খুঁজেও পায় নি প্রদ্যুৎ ধরের কাছ থেকে। এই মুহূর্তে সমস্ত বঞ্চিত লোকজন একত্রিত হচ্ছে। তারা ক্লাব সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় দ্বারস্থ হবেন। এই বিষয়টি ক্লাব সভাপতি জানতে পেরে তিনি মাঠে নেমেছেন।


গরীব লোকজনকে নানান ভাবে ধমকানো চমকানোর চেষ্টা করছেন। তাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন এলাকার সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন, রাকেশ বর্মনদের। রাজুর লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরীব লোকজনকে নানান হুমকি হুজ্জুতি দিচ্ছে। তবে গরীব মানুষ সমাজদ্রোহীদের ভয়ে সিটিয়ে না গিয়ে বরং একত্রিত হয়ে ক্লাব সভাপতির বিরুদ্ধে পাল্টা গর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
                  
              

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *