স্পোর্টস ডেস্ক, ১৫ডিসেম্বর।।
টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ‘রিস্ক’ টিম। বুদ্ধ গুপ্ত স্মৃতি মিডিয়া ক্রিকেট এবারও ‘রিস্ক’ টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পরপর চারবার মিডিয়া ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রিস্ক টিম একপ্রকার নজীর গড়ে নিয়েছে। শুক্রবারে স্যন্দন আয়োজিত ১৩তম বুদ্ধ গুপ্ত স্মৃতি মিডিয়া ক্রিকেটের ফাইনালে প্রতিপক্ষ নাগেশ্বরী-এ টিমকে ৭ রানে হারিয়ে রিস্ক টিম চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতে নিয়েছে। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে রিস্ক টিম ১৪ রানের ব্যবধানে নিউজ এন.ই বাংলা-কে হারিয়ে এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নাগেশ্বরী-এ টিম ৪ রানের ব্যবধানে ককবরক ককতৌমা দলকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়েছিল।
স্থানীয় এম.বি.বি কলেজ গ্রাউন্ডে ১৩টি মিডিয়া ক্রিকেট দলকে নিয়ে আয়োজিত বুদ্ধ গুপ্ত স্মৃতি মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ঘিরে সাংবাদিক, চিত্রসাংবাদিক, ক্রীড়া সাংবাদিক তথা মিডিয়া জগতে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল সেটাই মুখ্যত আয়োজকদের অন্যতম প্রাপ্তি বলা যেতে পারে। অন্তত পক্ষে একটা দিনের জন্য কলম ও ক্যামেরাকে সাইডে সরিয়ে রেখে প্রখ্যাত পেশাদার ফটোগ্রাফার বুদ্ধ গুপ্তের স্মৃতিতে একদিন মাঠে ক্রিকেট খেলার আয়োজনে নিজেকে জড়িয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং উপভোগ্য আনন্দটাই আলাদা।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথা রাজ্যের সংবাদ জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক ও স্যান্দন টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবল কুমার দে, উনার সংক্ষিপ্ত ভাষণদানকালে সাফল্যের উদ্দেশ্যে অভিষ্ঠ লক্ষ্য স্থির করে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে তিনি প্রয়াত বুদ্ধগুপ্তের সাহসিকতা পূর্ণ চিত্রসংবাদিকতার দু একটি নিদর্শন উল্লেখ করে, তা অনুসরণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, স্কুল অফ সায়েন্স-এর অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন রঞ্জি অধিনায়ক তথা টিসিএ-র সহ-সভাপতি তিমির চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চিত্র সাংবাদিকতায় নিয়োজিত সুখেন শর্মা এবং ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নিয়োজিত দীপক দে ও উৎপল ভট্টাচার্যকে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
ফাইনাল ম্যাচের শেষে বিকেলে মাঠে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সুদৃশ্য ট্রফি এবং প্রাইজমানি প্রদান করা হয়। টুর্নামেন্টে ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্টৈর ট্রফি ও প্রাইজমানি পেয়েছেন সুব্রত দেবনাথ। এছাড়া, সেরা ফিল্ডার জাকির হোসেন, সেরা ব্যাটসম্যান ভাস্করজ্যোতি দত্ত এবং সেরা বোলার বিশ্বজিৎ দেবনাথকেও পুরস্কৃত করা হয়। উল্লেখ্য, বিশ্বজিতের পক্ষে এটি টানা তৃতীয়বার সেরা বোলারের পুরস্কার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ত্রিপুরা পুলিশ এবং জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাবের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ এবং বিরতির সময় মহিলা সাংবাদিক দের মধ্যে একটি প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্যান্দন পত্রিকার রেসিডেন্ট এডিটর বিজয় পাল, স্যন্দন ডিরেক্টর ঈশিতা ভৌমিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রতীক সিংহ, স্নেহা সূত্রধর, পংকজ চক্রবর্তী, নারায়ণ দেবনাথ, তিমির বরণ মজুমদার, রবীন্দ্র সাহা, শুভানুধ্যায়ী পরিতোষ সাহা, পুলিশ আধিকারিক কমলাকান্ত জমাতিয়া প্রমূখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সর্বভারতীয় স্পোর্টস জার্নালিস্ট ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও স্পোর্টস এডিটর ও টেকনিকেল ডিরেক্টর সরযূ চক্রবর্তী এবং লজিস্টিক ডিরেক্টর তথা সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক সুপ্রভাত দেবনাথকেও সংবর্ধনা জানানো হয়। আম্পায়ার সুকান্ত সাহা, পরাগ সরকার, সঞ্জীব দাস ও আমির খানকে পদক-এ সম্মানিত করা হয়। পুরো টুর্ণামেন্টে স্পনসরের ভূমিকায় থাকা ব্লু স্টার, টিএনজিসিএল, ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি, বালাজি ডিজিকম, আইএলএস হসপিটাল, গৌরীশঙ্কর বস্ত্রালয়, আর্ট ভিউ রিয়েলিটি, মেডিকেডস, রাধাকৃষ্ণ জুয়েলারি এবং শুভানুধ্যায়ী পরিতোষ সাহা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে টুর্নামেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক অরিন্দম দে এবং অভিষেক দে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।