ডেস্ক রিপোর্টার, ১৫ডিসেম্বর।।
                 বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন একটা ট্র্যাডিশন। ওপারের মসনদে খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা যেই থাকুক না কেন, হিন্দু নির্যাতন কোনো অংশেই কম নয়। তবে হিন্দুদের জন্য শেখ হাসিনার সরকার মন্দের ভালো। এই টুকুই। এর বেশি কিছু নয়।আজও পদ্মা,মেঘনা,যমুনা,কর্ণফুলী,তিস্তা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিন্দুর তাজা রক্ত। পাল্টে যাচ্ছে নদীর জলের রং। জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন।এই নির্বাচনের বাজারেও ছাড় নেই বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাদের উপরেই নেমে এসেছে নির্যাতনের কদর্য চেহারা। বাংলাদেশ প্রশাসন চেষ্টা করছে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ ।কিন্তূ সর্ষের মধ্যেই যে ভূত! খোদ বাংলাদেশের প্রশাসনে কর্মরত লোকজনও প্রবল হিন্দু  বিদ্বেষী।

।।বিজ্ঞাপণ।।

গোটা বাংলাদেশে এখন চলছে ভোটের আবহ। হাসিনার দেশে এই মুহূর্তে হিন্দু বাঙালিরা ৭-৮ শতাংশ হলেও তাদের ভোট সরকারের জয় পরাজয়ের জন্য কাজ করে ধন্বন্তরীর মতো। তাই বারবার বিভিন্ন দলের নেতারা হিন্দু ভোট ধরে রাখতে  মায়া কান্নায় অস্থির হয়ে উঠেন। বাস্তব অর্থে হিন্দুদের বাংলাদেশে হিন্দুদের কোনো নিরাপত্তাই নেই। প্রতি মুহূর্তে হাসিনার দেশের হিন্দুরা দাড়িয়ে থাকেন জীবন – মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।


বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগ বা বিরোধী দল খালেদা জিয়ার বিএনপি সহ এই দুই দলের সঙ্গে জোটে থাকা দলগুলির প্রধানরা কখনো হিন্দুদের রক্ষা করতে পারে নি। সব প্রচেষ্টায় তাদের লোক দেখানো। একে বারে মেকি!


এই কারণেই বাংলাদেশে হিন্দু বাঙালি দিন দিন কমতে শুরু করেছে। অথচ বাংলাদেশ গঠনে বহু হিন্দু বাঙালি ঝরিয়েছে রক্ত। করেছে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন।তারপরও বাংলাদেশে মূল্যায়ন হয় নি হিন্দুদের। ওপারের কসাই খানায় বার বার হিন্দু বাঙালিদের জব দিচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরে দেশে কখনো শান্তিতে বাস করতে পারেনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।


ওপারের রাজনীতিকরা বলছেন, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই হিন্দুর জমি দখল,দোকান পাট ভাঙচুর, হিন্দু নারীদের অপহরন, ইজ্জত লুণ্ঠন, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ সৃষ্টি করছে।হিন্দুদের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো পথ নেই।


তাদের আর্তনাদ বাংলাদেশের প্রশাসন সহ প্রথম সারির সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে গুরুত্বহীন। তাই ওপারের হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও এখন আর বিচারের আশা করে না। কারণ তাদের জন্য বিচারের আশা করাটাই যেন অন্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *