ডেস্ক রিপোর্টার, ৬জুলাই।।
বোধজং নগর থানার জোড়া লাশ উদ্ধারের ঘটনা এখনো কিনারা করতে পারে নি পুলিশ। তবে রহিত সিনহা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে আরো পাঁচ থেকে ছয় জন জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য জাল বিস্তার করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে বার্তা। অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে বিমানবন্দর ও রেল স্টেশন গুলিকেও অবগত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালিয়েছে অপরাধীদের নিরাপদ ডেরায়।কিন্তু পুলিশের উপস্থিতির আঁচ পেয়ে দুই অভিযুক্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
তদন্তকারী পুলিশ হলফ করে বলছে, নেশা বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই খুনের ঘটনার সূত্রপাত।ধৃত রহিত সিনহা পুলিশকে বেশ কিছু তথ্য উগলে দিয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ রহিতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তদন্ত প্রক্রিয়া। পুলিশের দাবি,ধৃত রহিত নানান তথ্য দিয়ে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সে গোপন রাখার চেষ্টা করছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।এই বিষয় পুলিশ তা আঁচ করতে পেরেছে। এই কারণেই তার দেওয়া তথ্যের উপর পুলিশ পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না।
অনুসন্ধানকারী পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বুধবার রাতে রাজ্যের চার জায়গায় জাল বিস্তার করবে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে পুলিশ। রাত বারোটার পর থেকেই এক সঙ্গে চার জায়গায় শুরু হবে অভিযান। জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নন্দননগর এলাকা দুয়েক একজন চিনেপুঁটি শাসক দলীয় নেতার নামও উঠে এসেছে। পুলিশের সন্দেহ বাড়ছে তাদের চালচলন দেখে। এই কারণেই সন্দেহভাজন রাজনৈতিক নেতাদের গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখছে পুলিশ। আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে পুলিশ চিনেপুটি রাজনৈতিক নেতাদেরও জালে তুলতে সক্ষম হবে।
তদন্তকারী পুলিশের দাবি, নেশা কারবার কেন্দ্র করেই একটি নিটোল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল নন্দননগরস্থিত নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রেই বসত নেশার আড়ত।এখান থেকে বিক্রি হতো সামগ্রী। এই রেকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলো খুন হওয়া দুই যুবক পুষ্পক সাহা ও বাসুদেব দেববর্মা। গোটা নেশা কারবারের মাথা ছিল রহিত সিনহা। পুলিশে সন্দেহ, রহিতের উপর ছিল একজনের কালো লম্বা হাত। এই কালো লম্বা হাতের নির্দেশেই খুন হয়েছে পুষ্পক ও বাসুদেব। তাহলে প্রশ্ন আসছে,এই কালো লম্বা হাত কার ? পুলিশ অবশ্যই কালো লম্বা হাতের ব্যক্তির বিষয়টি কিছুটা উজ্জ্ব রেখেই তদন্ত শুরু করেছে । স্বাভাবিকভাবেই জনমনে বাঁধছে সন্দেহের দানা। নিশ্চিত ভাবে কালো লম্বা হাত ধারী ব্যক্তি পড়েন প্রভাবশালীর তালিকায়।তিনি বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও হতে পারে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।