ডেস্ক রিপোর্টার ,২রা মে।।
        গ্যাং ওয়ারে প্রাণ হারিয়েছে ঊষা বাজার ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি। তাকে খুব সামনে থেকে গুলি করে হত্যা করেছে আততায়ীরা। এবং পরিকল্পিত ভাবে। যমদূতরা আগেই রচনা করেছিলো ভিকির খালাসের স্ক্রিপ্ট।
             ভিকির মৃত্যুর পর তার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেছিলেন, হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে বিমান দাস, রাজু বর্মন, রাকেশ বর্মন সহ আরোও কয়েকজনের নাম। এবং বিমান দাসের ডাকেই ভিকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল।বিমানের পাঠানো গাড়িতে করেই রওনা হয়েছিলো। গন্তব্যস্থল ছিলো বামুটিয়াস্থিত বিমান দাসের বাড়ি। বিমানের পাতা ফাঁদে পা দিয়েই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি।

   দুর্গা প্রসন্ন দেবের স্ত্রীর মুখে উঠে আসা বিমান দাস কে? কিভাবে বিমান মরণ ফাঁদ তৈরি করে ছিলো দুর্গা প্রসন্ন’র? “জনতার মশাল” এই প্রতিবেদনে তুলে ধরবে বিমান দাসের আদি – অন্ত।


বামুটিয়ার বাসিন্দা বিমান দাস।পুলিশের খাতায় বিমান একজন দাগী অপরাধী। অস্ত্র কারবার থেকে নেশা কারবার। খুন,অপহরণের বহু অভিযোগ রয়েছে বিমান দাসের বিরুদ্ধে। এবার শুনুন বিমান দাসের অপরাধের রিপোর্ট কার্ড।

।।বিমান ব্যতীত অন্য তিন অভিযুক্ত রাজু – রাকেশ ও দেবব্রত।।

সাল: ২০১৩
______________
                      এই সময়ে রাজধানীর দূর্গা চৌমুহনীতে  খুন হয়েছিলেন নিগোসিয়েশন কারবারী দিলীপ ঘোষ। সন্ধ্যা রাতে দিলীপকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো। নেপথ্যে ছিলো আগরতলা পুর নিগমের নিগোসিয়েশন বাণিজ্য। দিলীপ হত্যাকাণ্ডে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলো বিমান দাস।

সাল :২০১৭
______________
                      ২০১৭ সালে আন্ত: রাজ্য অস্ত্র কারবারী হিসাবে বিমান দাসের আত্ম প্রকাশ ঘটে। এই সময়ে বিমান মনিপুরে গ্রেফতার হয়েছিলো।মনিপুর পুলিশ তার কাছ থেকে তিনটি পিস্তল ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছিলো। বেশ কিছু দিন মনিপুর জেলে ছিলো বিমান। তারপর আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়।


সাল:২০১৯
____________
                   মণিপুরের পর বিমান ফের অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয় রাজ্যের পুরাতন রাজ বাড়ি থানা এলাকায়। তার কাছ থেকে তাজা কার্তুজ সহ দুইটি পিস্তল উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। কিছুদিন জেলে থাকার পর আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছিল।

সাল:২০২১
____________
            এই সময়েও বিমান দাস গ্রেফতার হয়েছিলো গান্ধীগ্রামে। তার কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিলো পিস্তল ও নেশা সামগ্রী।


সাল:২০২৩
___________
                 গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে ঊষা বাজারে গাড়ি তল্লাসির সময়ে পুলিশ বিমান দাসকে পিস্তল ও তাজা কার্তুজ সহ গ্রেফতার করেছিলো। এই মামলায় কিছুদিন জেলে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসে বিমান।

সাল: ২০২৪
____________
               চলতি বছরের ৩০এপ্রিল ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেবের জন্য শহরের শাল বাগানের নির্জন স্থানে বিমান তৈরি করেছিল মরণ ফাঁদ। আর তাতেই খালাস দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি।

রাজুকে তাড়ানোর আন্দোলনে এক মঞ্চে ভিকি – বিমান।(গেরুয়া কোট পরিহিত ব্যক্তি ভিকি। সাদা গেঞ্জি বিমান)

বিমান দাস একের পর এক অপরাধ করে পুলিশের দুর্বল চার্জশিটের জন্য ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।বেশ কয়েকটি মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় বিমান দাসের মতো দাগী অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন নাসা প্রয়োগ করছে না।
  দাগী অপরাধী বিমান দাস এক সময়ে থাকতো শহরের বর্ডার গোল চক্কর এলাকায়। পরে চলে যায় বামুটিয়া অঞ্চলে।রাজধানীর মঠ চৌমুহনীতে পার্টনারশিপে দিয়েছিলো টাইলসের দোকান। এরপর বেশ কিছু দিন স্টেট ব্যাংকের লোন রিকভারি এজেন্সির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো। রিপোর্ট কার্ড থেকেই স্পস্ট অপরাধ জগতে বিমান দাস কতো বড় হস্তী। কিন্তু পুলিশ বিমানকে স্থায়ী ভাবে আইনের মারপ্যাঁচে বন্ধন করতে ব্যর্থ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *