ডেস্ক রিপোর্টার, ৯নভেম্বর।।
“নির্বাচনের আগে লিখিত চুক্তি ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করবো না। প্রয়োজনে নির্বাচনের পর ভোটে জয়ী হয়ে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের জন্য আইন করবো।” বক্তা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। বুধবার মেবার কুমার জমাতিয়াকে সামনে বসিয়ে একথা বলেন প্রদ্যুৎ।
এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আইপিএফটির বিধায়ক মেবার কুমার জমাতিয়া প্রত্যাশিত ভাবে যোগ দেন তিপ্রামথাতে। মঙ্গলবার তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। মেবার কুমারের সঙ্গে সিপিআইএমের গণমুক্তি পরিষদ নেতা চন্দন ত্রিপুরা ও বিজেপির জনজাতি নেতা রবিধন ত্রিপুরা যোগ দিয়েছেন তিপ্রামথায়।
মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ হুমকির সুরে বলেন, তিপ্রামথার নেতাদের প্রলোভন দেখিয়ে, টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। তাহলে এটা ভুল হবে।কারণ মথা নেতৃত্ব একজোট হয়ে অস্তিত্বের লড়াই করছে। কোনো ভাবেই মথার ইউনিটিকে ভাঙ্গা যাবে না। প্রদ্যুতের কথায়, ভোটে জয়ী হয়ে তিপ্রাসাদের স্বার্থে আইন তৈরি করা হবে।
প্রদ্যুৎ কিশোর মেবার কুমার ও চন্দন ত্রিপুরা ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, এডিসি ভোটে চন্দন অন্য রাজনৈতিক দলে থাকলেও তিপ্রামথাকে সাহায্য করেছেন। প্রদ্যুৎ বুঝিয়ে দিলেন, তিপ্রাসা নেতৃত্ব একজোট হয়ে কাজ করবে।তিনি হানা দিয়েছেন আইপিএফটি, বিজেপি ও সিপিআইএমে।
মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, তিপ্রাসারা ৭৫ বছর ধরে বঞ্চিত। এতো দিন তারা একজোট ছিলো না। তাই বিভিন্ন সময়ে আওয়াজ তুললেও জোড়ালো হয়নি।২০১৯ সালে প্রথম এই দাবি জোড়ালো ভাবে সামনে আনা হয়েছিলো। ২০২২শে আবার। মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোরের নেতৃত্বে আবার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে তিপ্রামথা।