ডেস্ক রিপোর্টার,৩০সেপ্টেম্বর।।
রাজধানীর চাঞ্চল্যকর খুন,সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত দাগি সমাজদ্রোহী মফিজ উদ্দীন মিয়া ওরফে কুট্টির রোদ্ররোষে পড়ে টানা ছয় মাস ধরে বাড়ি ছাড়া পাথর ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া। শেষ পর্যন্ত পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন মাসুক।ঘটনা শহরের পশ্চিম প্রতাপগড় এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকালে নির্যাতিত ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন।সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী তুরনাহার বেগম ও তাদের আইনজীবী।
সাংবাদিক বৈঠকে তুরনাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী মাসুক মিয়া থেকে পাথর নিয়েছিল মজিফ উদ্দিন মিয়া ওরফে কুট্টি। পাথরের মোট মূল্য ১কোটি ৭০লক্ষ টাকা। কুট্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, বিল পেয়ে টাকা চুকিয়ে দেবে।কিছুদিন পর টাকা চাওয়াতেই কুট্টির গাত্রদহন শুরু হয়ে যায়।
তুরনাহার বেগমের অভিযোগ,এরপরই একদিন রাতে কুট্টি মিয়া তার ভাইদের নিয়ে মাসুকের বাড়িতে চড়াও হয়।করে মারধর।এবং বাড়ির সিসি ক্যামেরা,টিভি,ফ্রিজ সহ অন্যান্য আসবাব পত্র ভেঙে দেয়। তাদেরকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেয়।অন্যথায় গুলি করে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় কুট্টি মিয়া।
তুরনাহার বেগমের বক্তব্য, এই ঘটনার পর তারা গিয়েছিল এডি নগর থানায়।তখন থানার ওসি ছিলেন কিরণশঙ্কর চৌধুরী।কিন্তু কিরণ শঙ্কর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কুট্টি মিয়ার বিরুদ্ধে।বরং মাসুক মিয়াকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলে।এবং নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।কারণ কুট্টি মিয়া একজন দাগি মাফিয়া।তার বিরুদ্ধে কিছু করা সম্ভব নয়।
পুলিশের কাছে ভরসা না পেয়ে কুট্টির ভয়ে মাসুক তার স্ত্রী,কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।তারা চলে যান তুরনাহার বেগমের বিশালগড়স্থিত বাড়িতে।মাসুকের স্ত্রীর অভিযোগ, কুট্টি মিয়া মাসুককে মারার জন্য তার বাপের বাড়িতে চলে যায়।একদিন গভীর রাতে লোকজন নিয়ে চড়াও হয় তুরনাহার বাবার বাড়িতে।সেখানেও কুট্টি মিয়া ভাঙচুর চালায়।এরপর তারা বাড়িতে আসার সাহস করে নি।
দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকার ফলে ব্যবসাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছিলো।শেষ পর্যন্ত পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন।এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান।একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা এডি নগর থানায় পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়ে ফের মামলা করেন।
গৃহবধূ তুরনাহার বেগম জানান, বাড়িতে যাওয়ার পর যদি ফের তার স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হন তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সমাজদ্রোহী কুট্টি মিয়া।
তুরনাহার দাবি, বাম জামানায় রাজধানীর আবুল মিয়া হত্যাকান্ড, রতন মিয়া হত্যাকান্ড সহ মঠচৌমুহনীতে রাজ্যের সর্ববৃহৎ অস্ত্র মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কুট্টির বিরুদ্ধে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে করা হয়েছিলো তরীপাড়।এছাড়া বাম জামানায় নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মাস্টার মাইন্ড ছিলো কুট্টি।রাজধানীর নেতাজি রোডের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগও রয়েছে কুট্টির বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *