ডেস্ক রিপোর্টার, ১ফেব্রুয়ারি।।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। দেশীয় নির্বাচনের মেগা আসরকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কংগ্রেস, সিপিআইএমও ঘর গুছানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু নিশ্চুপ প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথা। এবং দলের সর্বাধিনায়ক প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। নির্বাচনে তার দলের স্ট্যান্ড পয়েন্ট সম্পর্কে এখনোও নিশ্চিত করে কিছুই বলেন নি। তবে লোকসভা নির্বাচনেও তিনি যে ভারতীয় জনতা পার্টির সহায়ক দল হিসাবে কাজ করবে তার প্রমাণ দিয়েছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। বিশেষ ভাবে রাম মন্দির উদ্বোধনে এডিসিতে একদিনের ছুটি ঘোষণা করে।এবং নিজের মাকে নিয়ে রাম মন্দিরে উপস্থিত থেকে।
প্রদ্যুৎ কিশোর এতো দিন নিশ্চুপ থাকার পর আচমকা জেগে উঠেছে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি জনজাতি সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “ধৈর্য ধরুন আমরা অর্জন করবই …”। কি অর্জন করবেন তা অবশ্যই স্পষ্ট করে বলেন নি। তবে তিনি জনজাতি জনগণের অধিকার অর্জনের অঙ্গীকার বদ্ধ। এই বার্তা তিনি আবারও দিয়েছেন।
এদিন প্রদ্যুৎ কিশোর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টের মাধ্যমে অনেক গুরু গম্ভীর কথাই তিনি বলেছেন, “রাজনীতিতে প্রতি হিংসাপরায়ণ হওয়াকে হত্যাকারীদের প্রবৃত্তির লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।” প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্য যথার্থ। তবে প্রদ্যুৎ নিজেই রাজনীতি করতে নেমে বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রতি হিংসা পরায়ন হয়ে উঠছেন। বিভিন্ন সময়ে তার দেওয়া বক্তব্য থেকেই এই ভাবমূর্তি স্পস্ট।বলছেন রাজনীতিকরা।
প্রদ্যুৎ কিশোর তাঁর পোস্টে দাবি করছেন,
“আজকাল ভারতীয় রাজনীতিতে মানবিক মূল্যবোধের স্থান খুব কম। শেষ পর্যন্ত বিদ্বেষ, লোভ এবং প্রতিহিংসায় স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। মূল্যবোধের অভাবের কারণে মানুষকে যেতে হবে নরকে।”- একেবারেই দার্শনিকের কায়দায় প্রদ্যুৎ নিজের বক্তব্য পেশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাজনীতিকদের প্রশ্ন, রাজনীতির ময়দানে প্রদ্যুৎ কিশোর কোথায় মানবিকতা দেখিয়েছেন? হয় তো বা প্রদ্যুৎ নিজেও বলতে পারবেন না। তবে প্রদ্যুৎ বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন যে বিদ্বেষ, লোভ ও প্রতিহিংসা পরায়নতার কারণে মানুষের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। এবং এই কারণে শেষ পর্যন্ত মানুষকে নরকেও যেতে হয়।প্রদ্যুৎ কিশোর হঠাৎ করে এতো নমনীয় কেন? নাকি লোকসভা নির্বাচনে তিপ্রামথা বিজেপির সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগে প্রদ্যুৎ নিজেকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন? প্রশ্ন উঠছে খোদ জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজনের মনে।