ডেস্ক রিপোর্টার, ৫ফেব্রুয়ারি।।
             রত্নাকর দস্যু থেকে  “মহাঋষি” হয়েছিলেন বাল্মীকি । এটা সবার জানা। নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু বাস্তবেও এমনই ফুটে উঠেছে খোদ স্বরাষ্ট্র দপ্তরে।এক সময়ে রাজ্যের গহন জঙ্গলে হাতে শোভা বর্ধন করতো এ কে ৪৭ রাইফেল। আঙুল সর্বক্ষণ থাকতো রাইফেলের টিগারে। পাহাড়ের বুকে বহুবার খেলেছেন রক্তের হোলি। পরিষ্কার কথায়, রক্তখেকো জীব। তার নাম শুনলে আতকে উঠতেন তাবড় পুলিশ আধিকারিকরা। তাকে গ্রেফতার বা এনকাউন্টার করার জন্য বহুবার তক্কে তক্কে ছিলো রাজ্য পুলিশ – নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশের চক্রব্যুহ করেছিলেন ভেদ। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির তালিকায় উঠে এসেছিল নাম। কোনো ভাবেই পুলিশ দানবীয় জঙ্গিকে জালে তুলতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ এক দশক জঙ্গি জীবন কাটিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে ঘোষনা করেন  অস্ত্র বিরতি। ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে।


রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটির বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর এই জাঁদরেল জঙ্গি বেআইনী অস্ত্র কুলুঙ্গিতে রেখে ব্রতী হন আইন রক্ষার কাজে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরে স্পেশাল পুলিশ অফিসারের চাকরি নেন। চাকরি জীবনে অতীতের রক্ত খেকো জঙ্গি আশ্রয় নেন ভগবান জগন্নাথের পদ তলে। চাকরির পাশাপাশি জগন্নাথ হয়ে উঠেন তার আরাধ্য দেবতা। সম্পর্ক গড়ে তুলেন ইস্কন মন্দিরের সঙ্গে।এখন ইস্কন মন্দিরে তার অবাদ যাতায়াত।ইসকন ট্রাইবেল কেয়ার ইনিশিয়েটিভের প্রচেষ্টায় সম্পুর্ন বদলে গিয়েছেন অতীতে জঙ্গলে রক্তের হোলি খেলা প্রাক্তন বৈরী। তার এখন ভগবান অন্ত প্রাণ। এক কর্মময় পুরুষ।


তার চলন – বলন থেকে খাওয়া খাদ্য, সবেতেই পরিবর্তন। ছেড়ে দিয়েছেন আমিষ আহার। এখন তিনি সম্পূর্ণ ভাবে নিরামিষ ভোজী। মন্ত্র জপ করেন ১৬ রাউন্ড। প্রতিদিন সেবা করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের। তিনি করেছেন বিবাহ। স্ত্রীও করেন এসপিও- র চাকরি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও পরিবার নিয়ে ধর্ম ও কর্মময় জীবন কাটাচ্ছেন এই জাঁদরেল জঙ্গি। খোদ ইস্কনের এক সন্ন্যাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাক্তণ জঙ্গি নেতা ও বর্তমান এসপিও – র ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তবে  নিরাপত্তা ও সামাজিকতার বিষয়টি মাথায় রেখে এই প্রতিবেদনে তার নাম খোলসা করা হয় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *