ডেস্ক রিপোর্টার, ৫ফেব্রুয়ারি।।
  ক্রিকেট মানেই অর্থের প্রাচুর্য্য। আর অর্থের গরিমায় ক্রিকেট হয়েছে কালো। জাতীয় স্তর থেকে আন্তর্জাতিক স্তর সর্বক্ষেত্রেই ক্রিকেট বার বার কালিমা লিপ্ত হয়েছে। ক্রিকেট ব্যাটিং থেকে খুন, সবই হয়েছে ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে। এই সমস্ত কালো ক্রিকেটের লক্ষণ রেখার বাইরে ছিলো “ত্রিপুরা ক্রিকেট”। এখন অবশ্যই কালো ক্রিকেটের ছোঁয়া লেগেছে রাজ্যেও। অর্থাৎ ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে। ত্রিপুরা ক্রিকেট এখন অপরাধের আতুর ঘর। রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থায় এখন শোনা যায় আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনী। কালো ক্রিকেটের কুশীলবদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ছাপা সেটে দেওয়া হয় দুর্নীতির পোস্টার। রাজ্যের বিত্তশালী ক্রীড়া সংস্থার অর্থের ভান্ড এখন ভুগছে নিরাপত্তা হীনতায়। সব মিলিয়ে কালো হাত ঘিরে ফেলেছে স্বচ্ছ ক্রিকেটকে।


গত বছর রাজ্য ক্রিকেটে কি হয়েছিলো, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। এই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজ্যের মানুষ। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে তপ্ত রাজ্য  ক্রিকেটের আঙিনা। এখন চলছে ক্লাব গুলির প্রতিনিধিদের মনোনয়ন পত্র জমা পর্ব। তারপরেই শুরু হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। নির্বাচনের ১৬টি পোস্টের জন্য ক্লাব প্রতিনিধিরা জমা করবে মনোনয়ন পত্র। আর এখানেই অপরাধের কালো লম্বা হাত প্রবেশ করছে রাজ্য ক্রিকেটের গর্ভগৃহে।

।।টিসিএ’তে অস্ত্রের আস্ফালন।।(ফাইল ছবি)

রাজ্য ক্রিকেটের আস্টেপিস্টে জড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতি। রাজ্যের শাসক দল বিজেপির নেতৃত্ব। পোস্ট অফিস চৌমুহনীর ধনী বাড়ী দখল নিতে শাসক দল আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। গত বছরও দেখা গিয়েছিল একই দৃশ্য। এবারও পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এই ঘটনার।পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে আরো ভয়াবহ। এটা আঁচ করে প্রশাসন ঘিরে ফেলেছে পোস্ট অফিস চৌমুহনীর ধনী বাড়ীটিকে। কারণ এই বাড়ি এখন নিরাপদ নয়।যেকোনো সময় এই বাড়ির দখলদারী নিয়ে ঝরতে পারে তাজা রক্ত। এমন আশঙ্কা করছে ক্রিকেট প্রেমী মানুষ।


ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে চলছে ধামকানো চমকানোর সংস্কৃতি। এখন এই গুলি চলছে চোরাগুপ্তা ভাবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা চলে আসবে আরোও প্রকাশ্যে। ক্রিকেট আঙিনায় যে কোনো সময় শুরু হতে পারে আগ্নেয়াস্ত্রের আস্ফালন। রক্তস্নাত হতে পারে রাজ্য ক্রিকেট! ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠী এখন সন্মুখ সমরে।  পোস্ট অফিস চৌমুহনীর ধব ধবে সাদা বাড়ির ইট – সিমেন্টের দেওয়ালে রক্তের ছিটায় পড়তে চাপ চাপ লাল দাগ। তাই এক অজানা আতঙ্কের প্রহর গুনছে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত লোকজন।


এতদিন দেশের অন্যান্য রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার দখলদারী নিয়ে কালো ক্রিকেটের উপাখ্যান শোনা যেত। ভোটারদের বন্দী করা হতো হোটেলে। পওয়া যেত আগ্নেয়াস্ত্রের তাজা বুলেটের গন্ধ। খোদ দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক  বিসিসিআই – র ঘরেই এই সংক্রান্ত গল্প গাঁথা। তখনও ক্রিকেটের কালো হাত স্পর্শ করতে পারেনি পার্বত্য ত্রিপুরার ক্রিকেটকে। এখন আর শেষ রক্ষা হয় নি। শেষ বছর ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে সমস্ত অপরাধের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিলো রাজ্য ক্রিকেট অভিভাবক সংস্থা। এই মুহূর্তে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। আসন্ন ভোট কেন্দ্র করে বার বার ক্রিকেট সংস্থার পরিমণ্ডলের ক্লাইম্যাক্স-র পরিবর্তন ঘটছে। শেষ পরিণতি কি হয়, কেউই বলতে পারছে না। তাই পোস্ট অফিস চৌমুহনীর ধনী বাড়িটির প্রতিটি ইট – বালিতে শুরু হয়েছে কম্পন। ক্রিকেট বাড়ির এই রাক্ষসরুপী কম্পনের অন্ত কবে এবং কিভাবে হবে? ক্রিকেট অপরাধের ক্যানভাসে তা এখনও অস্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *