ডেস্ক রিপোর্টার,৯সেপ্টেম্বর।।
রাজ্য রাজনীতির তৃতীয় বিকল্প হয়ে উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।শাসক দল বিজেপি’র হিংসা নিয়ে সরব তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাজপথে পায়ে পা মেলান তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজপথে মিছিল বের করে তৃণমূল। ঘাসফুল ফুলের মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। সংবাদ পত্রের উপর আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি,এই রাজ্যে বিজেপি’র শাসনে নেই কোনো গণতন্ত্র।প্রতি মুহূর্তে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরছে।পুলিশ কাঠ পুতুলের ভূমিকা পালন করছে।পুলিশের সামনেই শাসক দলের লোকজন তাণ্ডব লীলা শুরু করেছে।তারপরও পুলিশ অসহায় প্রাণীর মত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ধ্বংস স্তূপের আমেজ নিচ্ছে।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, “তৃণমূল এধরণের ঘটনা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবে না।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।স্বাভাবিক ভাবেই এই রাজ্যে তৃণমূল নানান ইস্যুতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।” এদিনের তৃণমূলের ভালো সংখ্যক কর্মী-সমর্থক সামিল হয়েছে। তৃণমূলের এই লোক সমাগম আগামী দিনে বিজেপি ও সিপিআইএমকে ভাবতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশারদরা।তৃণমূলের এদিনের মিছিলে বেশ কয়েকজন বামমার্গীয় বুদ্ধিজীবীদের দেখা গিয়েছিলো। সিপিআইএম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাদের দেখা গিয়েছিলো বিজেপি’র মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।তাও আবার মুখ ঢেকে।এই সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয়েছিলো। এদিনের মিছিলে স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিক ছাড়াও বাংলার পুর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃনমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।