ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০এপ্রিল।।
                   ভোটের বাজারে মাদক দ্রব্য পাচারে সফট টার্গেট ছিল অ্যাম্বুলেন্স। মাদক কারবারের চাঁইরা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে নিয়মিত পাচার করছে। এই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। পুলিশ ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাঁচটি সামাজিক সংস্থার পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স সনাক্ত করেছে। তারমধ্যে একটি আগরতলার।দুইটি বিশালগড়ের। একটি সোনামুড়া ও একটি উত্তর জেলার ধর্মনগরের। এই সমস্ত সামাজিক সংস্থার অ্যাম্বুলেন্স গুলি সম্পর্কে পুলিশ অনুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করেছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে সামাজিক সংস্থার লোকজন কি জড়িত? না কী  অ্যাম্বুলেন্স চালক নিজেই  উদ্যোগ নিয়ে কারবারিদের সঙ্গে মিলেমিশে এই কাজ করছে। এই সংক্রান্ত তথ্য  সংগ্রহের জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ করছে নিয়মিত।


রাজ্য পুলিশের দাবি, এতো দিন রাজ্য জুড়ে ছিল ভোট আবহ। এখন ভোট শেষ হয়েছে। সনাক্তকৃত অ্যাম্বুল্যান্স গুলির গতি বিধির উপর নজর রাখছে পুলিশ।পুলিশ নিশ্চিত মাদক চালান আনা – নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সামাজিক সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্স গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে কৌশলে।


প্রসঙ্গ ভোট মরশুমেই কুমারঘাট পুলিশ মাদক বোঝাই একটি অ্যাম্বুল্যান্স আটক করেছিলো।গ্রেফতার করেছিলো কারবারের দুই চাঁইকে। এরপরই পুলিশ সন্দেহ জনক অ্যাম্বুল্যান্স গুলি উপর নজর রাখতে শুরু করে। তখনই পুলিশের কাছে উঠে আসে হার হিম করা তথ্য। রাজধানী সহ রাজ্যের আরোও তিনটি জায়গার মোট পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্সকে সন্দেহের রাডারের মধ্যে নিয়ে এসেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভোটের মুখে নিরাপত্তারক্ষীদের সন্দেহের চোখ এড়ানোর জন্যই কারবারীরা ব্যবহার করেছিল অ্যাম্বুল্যান্স গুলিকে।রাজনৈতিক কারণে ভোট আবহে পুলিশ হাত গুটিয়ে বসেছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *