ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০এপ্রিল।।
            ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮।
      প্রথম দফায় টানা দশ বছর রাজ্যের ক্ষমতায় ছিলো বামেরা। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রয়াত কমিউনিষ্ট নেতা নৃপেণ চক্রবর্তী।
           ১৯৯৩ থেকে ২০১৮ ।
দ্বিতীয় দফায় বামেরা টানা ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিলো। এই সময়ের মধ্যে বামেদের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুইজন একজন দশরথ দেব, অপর জন মানিক সরকার। দ্বিতীয় দফায় প্রথম পাঁচ বছর মুখ্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা দশরথ দেব। পরের কুড়ি বছর রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন  পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার।
          সিপিআইএম রাজ্যের দীর্ঘ সময় ক্ষমতা থাকা একটি রাজনৈতিক দল ।১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা চুত্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে পড়েছে গোটা সংগঠন। ২৩- র নির্বাচনে একক ভাবেই লড়াই করতে পারে নি। একসময়ের চির শত্রু কংগ্রেসকে মিত্র বানিয়ে তাদের কোমরে ধরে ছিলো। লোকসভা নির্বাচনেও একই হাল। অথচ অতীতে কমিউনিষ্টরাই ছিলো রাজ্য রাজনীতির দানবীয় শক্তি। রাজ্য রাজনীতিতে সিপিআইএম কি ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? লোকসভা নির্বাচনের আবহে যখন এই প্রশ্ন চাগার দিচ্ছে, ঠিক তখনই এই আশঙ্কাকে আরোও তীব্র করে তুলেছে বামেদের ছাত্র যুব ভবনের এক ভিডিও।


আগরতলার মেলারমাঠে সিপিআইএমের ছাত্র – যুব ভবন। অর্থাৎ এসএফআই- টিএসইউ এবং ডি ওয়াইএফআই ও টিএফওয়াই।এটা বাম ছাত্র – যুব আতুর ঘর। এই বিল্ডিংয়েই উপরে আছে কৃষক ক্ষেত মজুর ভবন। সিপিআইএম ক্ষমতাচুত্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের অহঙ্কার, দাম্ভিকতা মাটির ধুলোতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তাই বাম ছাত্র – যুব রাজনীতির মৃগয়া ক্ষেত্র এখন বিয়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।এখন বিয়ে বাড়ির ভাড়ায় খাটছে।
            সিপিআইএম কেন তাদের অফিসে এখন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিচ্ছে? তাহলে কি সিপিআইএম বুঝে গিয়েছেন,তাদের পক্ষে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়? তাই দলের সম্পদ গুলিকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। নাকি, অট্টালিকায়, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা বাম নেতারা গরীব হয়ে গিয়েছেন? দল পরিচালনা করার অর্থ নেই তাদের কাছে। এই জন্য দলীয় আফিস গুলিকে সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিয়ে উপার্জিত অর্থ দলের খরচা মেটানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। এই সংক্রান্ত নানান প্রশ্ন তুলছেন খোদ নিষ্ঠাবান বামপন্থীরা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল মেলারমাঠের লাল বাড়ির দন্ড মুণ্ডের কর্তারা কি সাধারণ কমিউনিস্টদের এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?


বর্তমান সিপিআইএমের এই অবস্থা দেখে স্বর্গে যাওয়া নৃপেণ, দশরথ – বৈদ্যনাথদের মত কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতারও দুঃখ পাবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *