ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
        “রাজ্য জুড়ে সুশাসন চললে তা  ঢাউস  ঢাউস পোষ্টার সেটে প্রমাণ করতে হয় না।সত্যিকারের সুশাসন হলে মানুষ তা বুঝতে পারে। তার জন্য মন্ত্রীদের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন করতে হয় না।”…… বক্তা সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। বুধবার তেলিয়ামুড়াতে অনুষ্ঠিত বামেদের ছাত্র-যুবা সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
        সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, রাজ্যে আক্ষরিক উন্নয়ন করেছে পূর্বতন বাম সরকার। “ত্রিপুরা”কে গোটা দেশের মধ্যে পরিচিতি করেছে বামফ্রন্ট সরকারই। আর বিজেপি রাজ্যের মানুষকে নিয়ে প্রতারণা করছে। জুমলাবাজি করে ১৮তে ক্ষমতায় এসেছে। এবারও একই ভাবে বিজেপি আশ্রয় নিচ্ছে জুমলাবাজির। সাধারণ মানুষের টাকা খরচা করে পোস্টার সেটে উন্নয়নের ফিরস্তি তুলে ধরছে। বাম সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনো মন্ত্রীদের ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপাতো না এবং উন্নয়নের পরিসংখ্যানও তুলে ধরত না। কারণ রাজ্যের মানুষ জানতো বামফ্রন্ট সরকারের হাত ধরেই এই রাজ্যের মুকুটে উন্নয়নের পালক যুক্ত হয়েছে। সারা দেশের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে “ত্রিপুরা”।


২৩- র বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র করেই এদিন  তেলিয়ামুড়া বাজারে অনুষ্ঠিত হয় বামেদের এই সভা।সমাবেশে জিতেন্দ্র চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী, সিপিএম খোয়াই জেলা কমিটির সম্পাদক ডক্টর রঞ্জিত দেববর্মা, সহ দলের চারটি গণ সংগঠনের নেতৃত্ব। সমাবেশের পূর্বে দলীয়কর্মীরা নেতাজি নগরস্থিত অশ্বিনী ঘোষ স্মৃতি কমিউনিটি হলের সামনে থেকে এক রেলি করে  শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। শেষে তেলিয়ামুড়া বাজারে এসে সমাবেশের স্থলে জমায়েত হয় । এই সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আটোসাটো ।সমাবেশের শুরুতেই সিপিএমের উপস্থিত বক্তারা  কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজ কর্মের সমালোচনায় সরব হন। দলের সর্বভারতীয় যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি ভাষণের শুরুতেই রাজ্য সরকারের কাজকর্ম নিয়ে  কামান দাগান। শুরু । তিনি বলেন, সিপিএম দলের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষদের পাশে নিয়ে বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রাম জারি রেখেছে ।


এদিনের এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ১৯ পরিবারের ৫৮ জন ভোটার সিপিএমে যোগ দেয়। দল ত্যাগীদের   দলে বরণ করে নেন সর্বভারতীয় যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী এবং সিপিএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।


তবে  রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে  বামপন্থী চারটি সংগঠনের যুবাদের নিয়ে কমিউনিস্টদের এই শক্তির মহড়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *