ডেস্ক রিপোর্টার, ৫নভেম্বর।।
          ত্রিপুরা – বাংলাদেশে মধ্যে রেল যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতেই পোয়া বারো রাজ্যের পাসপোর্ট ব্যবসায়ীদের। রেল পথে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য এক শ্রেণীর মানুষ উৎসুক হয়ে উঠেছে। এটাই স্বাভাবিক। রেল পথে বাংলাদেশ এবং ঢাকা হয়ে কলকাতায় যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চাইছে না। এই রুটে ত্রিপুরার মানুষ কলকাতায় আসা যাওয়া করতে পারলে তাদের সময় ও অর্থ দুইটাই বেচে যাবে। তাই বর্তমানে আন্তর্জাতিক রেল পথ ধরেই কলকাতায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ত্রিপুরার বড় অংশের লোকজন। তার জন্য অবশ্যই দরকার পাসপোর্ট। যৌথ ভাবে সদ্য এই রেল পথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন ভারত – বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা।


ত্রিপুরা – বাংলাদেশ রেল পথ উদ্বোধন হওয়ার সাথে সাথে চাপ বাড়ছে পাসপোর্ট অফিসে।প্রতিদিন অন – লাইনে জমা পড়ছে পাসপোর্টের আবেদন পত্র। কিন্তু সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্ট পেতে সময় নেয়, দুই থেকে আড়াই মাস। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের তর সইছে না। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রীবাহি রেল কবে থেকে চলাচল শুরু করবে তার কোনো নিশ্চয়তা দেয় নি দুই দেশের রেল মন্ত্রক। তার মধ্যে পাসপোর্ট অফিসে মানুষের দৌঁড় ঝাঁপে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে পাসপোর্ট ব্যবসায়ীরা। আগরতলার বেশ কয়েকটি জায়গাতে অফিস সাজিয়ে বসেছে পাসপোর্ট দালাল চক্রের চাইরা। তাদের এজেন্টরা এখন নিয়মিত চক্কর কাটছে পাসপোর্ট অফিস চত্বরে।

আগরতলা পাসপোর্ট অফিস

পাসপোর্ট দালাল চক্রের চাইরা পাসপোর্ট করতে আসা লোকজনকে জানিয়ে দিচ্ছে, পাঁচ হাজার টাকা করে দিলে,তারা দুই সপ্তাহের মধ্যেই হাতে তুলে পাসপোর্ট। দশ হাজার দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পৌঁছে যাবে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যেও তারা পাসপোর্ট করে দিতে পারবে। তারজন্য লাগবে মোটা অঙ্কের টাকা। এই ভাবেই পাসপোর্ট অফিসের সামনে দাড়িয়ে পাসপোর্ট দালাল চক্রের এজেন্টরা তাদের ব্যবসার বিজ্ঞাপন করছে। অভিযোগ, পাসপোর্ট দালাল চক্রের চাইদের সঙ্গে অফিসের লোকজন জড়িত। কারন পাসপোর্ট দালাল চক্রের চাইরা অফিসের মধ্যেই নিয়মিত ঘুরাঘুরি করে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষ সমস্ত সরকারী নিয়ম – নীতি মেনে পাসপোর্ট করেন। তার জন্য পাসপোর্ট পেতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস।এক্ষেত্রে দালাল চক্রের চাইরা কিভাবে অল্প কয়েকদিনে পাসপোর্ট ইস্যু করে নিয়ে আসছে। যেখানে পাসপোর্ট আবেদনকারীর কাগজ পত্র ভেরিফিকেশনের মতো গুরুত্বপূর্ন কাজ রয়েছে।


পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। পাসপোর্ট অফিসের একাংশ কর্মী মানুষকে হেনস্থা করে থাকেন। তারা জিজ্ঞাসা করেন কেন পাসপোর্ট করছেন? কোন দেশে যাবেন?কেন যাবেন? এরকম নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।সম্প্রতি এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে এধরনের ঘটনা করেছে পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরা।ছাত্রীর বাড়ি রাজধানীর বেলতলী এলাকায়। তার মতো অন্যন্য লোকজনকেও পাসপোর্ট অফিসে এসে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। অভিযোগ, পাসপোর্ট অফিসের কোনো কোনো কর্মী ঘুরিয়ে মানুষের কাছে বার্তা দেন, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট পেতে দেরি হবে। কিন্তু টাকা দিলেই সহজেই পাওয়া যাবে পাসপোর্ট। এই সহজ রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরা। লোকজন প্রতিনিয়ত পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের খপড়ে পড়লেও হেলদোল নেই কাউর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *