ডেস্ক রিপোর্টার, ৫নভেম্বর।।
    ব্যবসার নামে রাজ্যে তাণ্ডব শুরু মেডিসিন মাফিয়াদের।দেদার বিক্রি করছে দুই নম্বরী মেডিসিন।পিডি কোম্পানির মেডিসিনেছড়াছড়ি গোটা রাজ্যে। এই সমস্ত মেডিসিন বিক্রি করে পকেট কাটছে সাধারণ মানুষের। নিশ্চুপ রাজ্যের ড্রাগস কন্ট্রোল।কোনো হেলদোল নেইরাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের।অসুস্থ  মানুষের জীবন নিয়ে চলছে ছিনিমিনি খেলা।এরাই লুঠ করছে সাধারণ মানুষের রাশি রাশি অর্থ।


রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে থাকা মেডিসিন মাফিয়ারা শুরু করেছে  মনোপলি বাণিজ্য। তারা এমআরপি থেকে একটি টাকাও কম রাখে নি। খুরচা পয়সাও তারা ছাড়ে নি দোকানে ওষধ ক্রয় করতে যাওয়া লোকজনের কাছ থেকে।অথচ এরা বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সরবরাহ করছে বিভিন্ন পিডি কোম্পানির নানার  ওষধ। তবে শহরের আশপাশ অঞ্চলের কিছু মেডিসিন ব্যবসায়ী ওষধের এমআরপি থেকে ১০ শতাংশ ছাড় দিয়ে থাকেন। অন লাইনে মেডিসিন ক্রয় করলে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু রাজ্যে অন লাইনে মেডিসিন বিক্রি করার সংস্থার সংখ্যা খুব কম। তাই এই রাজ্যের মেডিসিন মাফিয়ারা এক চেটিয়া ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং লুঠ করছে মানুষের অর্থ। গোটা চক্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসাদের একটা অংশ।কারণ চিকিৎসকরা নিজেরাই তাদের ব্যবস্থাপত্রে পিডি কোম্পানির ওষধ লিখছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও এটাই সত্যি চিকিৎসকরা কোনো জেনেরিক মেডিসিন প্রেসক্রিপশনে লিখছেন না।


ত্রিপুরা ব্যতীত অন্যান্য রাজ্যের মানুষকে এই হ্যাপা পোহাতে হয় না।কারণ ছোট বড়  সব মেডিসিনের দোকানেই পাওয়া যায় ছাড়। ওষধের গুণমানও ভালো। দাপাদাপি নেই পিডি কোম্পানীর ওষধের। তাছাড়া আছে অন লাইনে মেডিসিন বিক্রির সংস্থা। রাজ্যের ওষধের বাজারের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় বিভিন্ন মেডিসিন দোকান ওষধের দাম কম রাখতে চাইলেও  ড্রাগ অ্যান্ড কেমিস্ট অ্যাসোসিয়েশন তাদের বাধা প্রদান করে থাকে।


অ্যাসোসিয়েশনের ধান্দাবাজ  নেতারা দোকানীদের দেখায় রক্ত চক্ষু। অ্যাসোসিয়েশন থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে। তাই অনেক মেডিসিন ব্যবসায়ীর ছাড় দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তারা অ্যাসোসিয়েশনের ধান্দাবাজ নেতাদের ভয়ে খদ্দেরদের ছাড় দিতে সাহস পায় না। এই অভিযোগ করছেন খোদ মেডিসিন ব্যবসায়ীরা।
মেডিসিন ব্যবসায়ীদের কথায়, “মেডিসিন বিক্রি করে তাদের গড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ লাভ হয় ।কোনো কোনো মেডিসিন লাভের পরিমাণ আরো বেশি।কিন্তু তিনি ইচ্ছা থাকলেও ছাড় দিতে পারেন না।”  মেডিসিন ছাড়ের খবর অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের কাছে পৌঁছলে তাদেরকে সংস্থা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই ব্যবসায়ীরাও ঘোষনা দিয়ে মেডিসিনের ছাড় দিতে পারেন না।


বহিঃ রাজ্যে বিভিন্ন মেডিসিন দোকানে ১০ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়ে মেডিসিন দোকানগুলি সাইন বোর্ড লাগিয়ে রাখে। কোনো দোকান কত বেশী  ছাড় দিতে পারে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।কিন্তু ত্রিপুরায় তা সম্ভব নয়।
        ওষুধের ছাড় সংক্রান্ত বিজ্ঞাপণ দিলে সেই দোকানীকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে ছেটে ফেলে দেয় ধান্দাবাজরা।দোকানীদের লাগানো হবে নানান প্রতিবন্ধকতা। পাইকারি দোকান থেকে তাঁকে ওষধ না দেওয়ার হুলিয়া জারিও করা হয়ে থাকে খুচরো  মেডিসিন বিক্রেয়াতাদের।রাজ্যের অন লাইন ওষধ বিক্রেয়াতাদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তারাও প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিতে পারছেন না। কারণ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সমস্যা তৈরি করে তাদেরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *