ডেস্ক রিপোর্টার,২১জানুয়ারি।।
দরজায় কড়া নাড়ছে ২৪- র লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্য রাজনীতিতে চলছে সমঝোতার রাজনীতি! বিশেষ ভাবে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী সিপিআইএমের মধ্যে। এই সমীকরণকে মান্যতা দিতে গিয়ে জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছে মেলারমাঠের নেতৃত্ব। অভিযোগ খোদ বাম-কর্মী সমর্থকদের।
২৪- র মহারণের ডঙ্কা বাজতেই মাঠে নেমেছে সিপিআইএম। বিভিন্ন মঞ্চে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছেন মেলারমাঠের ডাইনামিক নেতা মানিক – জিতেন্দ্রররা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করছেন কি বাম নেতৃত্ব? এই প্রশ্ন এখন কুড়ে খাচ্ছে বাম ঘরানার লোকজনকে।
বাম কর্মীদের বক্তব্য, দ্বিতীয় বার বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কিছু কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তো আছেই। কিন্তু এক রহস্য জনক কারণে বাম নেতৃত্ব বিজেপির সমস্ত দুর্নীতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন।
প্রথমত বিজেপির নেতা টিংকু রায় জাল শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছেন।হয়েছেন মন্ত্রীও। একই ঘটনায় মনিপুরের এক বিধায়ককে আদালতের নির্দেশে “বিধায়ক” পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিলো। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় টিংকু রায়ের জাল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ইস্যুতে নিশ্চুপ বাম নেতৃত্ব। অথচ বাম জামানায় জাল কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য বাম নেতা পার্থ দাসের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তৎকালীন বিরোধী দল কংগ্রেসের ধারাবাহিক আন্দোলনের কারণে। টিংকু রায়ের টিআইডিসি ইস্যুতেও চুপ বামেরা।
জল জীবন মিশনের সিলিকন বোর্ড কেলেঙ্কারি, রেশন কেলেঙ্কারি, ও প্রশ্ন পত্র ফাঁস হওয়া কেলেঙ্কারি নিয়ে বামেরা আজও টু – শব্দ করে নি।তাছাড়াও বিজেপির জামানায় আরোও বড় বড় কেলেঙ্কারির বিষয় সামনে উঠে এসেছে। কিন্তু মেলারমাঠের তাবড় নেতৃত্ব মুখ খোলসা করার সাহস করছেন না। বিজেপির দুর্নীতি নিয়ে তারা বরাবর পালন করছেন মৌনব্রত। মানিক – জিতেন্দ্র – নারায়ণদের এই অঙ্ক বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না দলের সাধারণ কর্মী -সমর্থকদের।
১৮ থেকে ২৩ পর্যন্ত বিজেপির দুর্নীতি নিয়ে বামেরা রাজপথে বড় কোনো আন্দোলন করে নি।
হয় নি কোনো তাক লাগানো জঙ্গি মিছিল, যেখানে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস বা জল কামান ব্যবহার করতে হয়েছে। এক বারের জন্যও জল কামানের দুর্গন্ধ যুক্ত কাদা- জল গায়ে লাগে নি শুভ্র বস্ত্র বসনকারী মানিক সরকার ও জিতেন্দ্র চৌধুরীর। বরং মানিক সরকারের শুভ্র বস্ত্রে দেওয়া দামি আতরের গন্ধে আজও মোহিত হন তার আশপাশে থাকা লোকজন।
বাম জামানার পাহাড় সমান দুর্নীতি নিয়ে নিশ্চুপ বিজেপিও। ক্লোজ চাপ্টারের পথে চিটফান্ড কাণ্ড। সিবিআই – র অন্ধ কূপে দুই সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড মামলা। বিশবাও জলে জাইকা কেলেঙ্কারি। বিজেপিও বামেদের দুর্নীতি গুলিকে কৌশলে চেপে গিয়ে মানিক সরকার প্রশাসনকে “দুর্নীতি মুক্ত” প্রশাসন হিসাবে বকলমে স্বীকৃতি দিচ্ছে কৃষ্ণনগরের গেরুয়া বাড়ির দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা।