তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,২০জানুয়ারি।।
        “বন্য হাতি পাকড়াও করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে, শান্তিতে থাকতে পারবে এলাকার লোকজন”- বক্তব্য মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার। মন্ত্রীর  এই বক্তব্যের ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হতে না হতেই মন্ত্রী বাহাদুরের বক্তব্য’কে রীতিমতো ” চ্যালেঞ্জ”  জানিয়ে দিলো বন্য দাতালের দল। শুক্রবার রাতেও  বন্য হাতি তান্ডব চালিয়ে এক গৃহস্থের বাড়িঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। পরিষ্কার ভাবে বললে, বন দপ্তরের অকর্মণ্যতার কারণে কৃষ্ণপুর বিধানসভার এলাকাবাসীরা দৈনন্দিন বন্য দাতালের আক্রমণের শিকার। প্রশ্নচিহ্নের মুখে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার আশ্বাসের বাণী!


তেলিয়ামুড়া থানাধীন চাকমাঘাটের সুভাষ শর্মা পাড়া এলাকার বাসিন্দা অনিতা দাস সরকার নামের এক মহিলার বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বন্য দাতালের দল হানা দেয়। হাতির দল বসত ঘর সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। অভিযোগ, ঘটনার সময় বন দপ্তরের করিৎকর্মা কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যায় নি।তবে ঘটনার কয়েকঘন্টা পর এ.ডি.এস টিমের ভলান্টিয়াররা ক্ষতিগ্রস্থ গৃহস্থের বাড়িতে ছুটে যান।


অনিতা দেবীর কথায় , এর আগেও বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে বন্য দাতাল হাতি হামলা করেছিলো।কিন্তু কোনো সময়েই ভাগ্যে জোটেনি কোন প্রকার সরকারি সাহায্য সহায়তা। এলাকার বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি শনিবার সকালে দায় সাড়া মনোভাব নিয়ে অনিতার  বাড়িতে  ছুটে যান।


এদিকে,শুক্রবার সকালে বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকার আমজনতা’রা দলমত নির্বিশেষে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসেছিল। ওই সময় অবরোধস্থলে এসে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেছিলেন ।কিন্তু বাস্তব হলেও সত্যি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। এখন হাতির হাত থেকে চিরতরে নিস্তার পেতে বিকল্প উপায়ের সন্ধানে আছে গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *