ডেস্ক রিপোর্টার, ২রা জুলাই।।
    নিরাপত্তাহীন রাতের আগরতলা।শহরে রাতের আঁধারে দাপট বাড়ছে নিশিকুটুম্বদের। বেআব্রু পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহর দক্ষিণের অরুন্ধতী নগরের থানা এলাকায় ভেঙ্গে পড়েছে পুলিশী ব্যবস্থা। কোথায় থানার ওসি, আর কোথায় এসডিপিও?   আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টিতে কি করবেন পুলিশ কর্তারা? তারা দুয়েকজন কনস্টেবলকে থানা এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েই দায়িত্ব খালাস করে নেন।


পুলিশের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে শুক্রবার রাতে  বড়দোয়ালী বিপণি বিতানের এক কম্পিউটারের দোকানে হানা দেয় চোর চক্রের পান্ডারা। সন্ধ্যা ইনফোসিস নামক  দোকানের শাটারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে চোর। দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে হাত সাফাইয়ের আগে চোর চক্রের পান্ডা তার গায়ে গেঞ্জির উপর আরেকটি গেঞ্জি পড়ে নেয়। তারপর শুরু করে হাত সাফাই।


এই দোকান থেকে তিনটি লেবটপ,তিন কম্পিউটার সহ এই সংক্রান্ত বহু জিনিস নিয়ে যায় নিশি কুটুম্বরা। বাজার মূল্য আনুমানিক সাড়ে চার লক্ষ টাকা। জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অবাক করার মতো বিষয় চুরি করতে আসা যুবকটি জনজাতি সম্প্রদায়ের। সিসি ক্যামেরায় চোরকে দেখে এমনটাই জানিয়েছেন দোকানদার।


প্রশ্ন হচ্ছে , জাতীয় সড়ক ও উড়ালপুল লাগোয়া  বড়দোয়ালি বিপণি বিতান থেকে  চোর চক্রের পান্ডারা হাত সাফাই করলেও পুলিশ গুনাক্ষরেও আঁচ করতে পারে নি। অথচ এই রুট দিয়ে নিয়মিত চলাফেরা করে পুলিশের গাড়ি।পুলিশের পদস্থ কর্তারা। রাতে চুরি করে লেবটপ,কম্পিউটার নিয়ে চোর চক্রের পান্ডারা পালিয়ে গেলেও তাদের টিকিট নাগাল পায় নি রাতের শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। এটাও বাস্তব, পুলিশ থাকলেও গোটা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা রাখা উচিত।অন্যথায় পুলিশের পক্ষে পুরোপুরি ভাবে মার্কেট চত্বর দেখে রাখা সম্ভব নয়। রাতের আধারে মার্কেটের পরিস্থিতিও ভালো থাকে না। এটা হয়ে উঠে মদ্যপদের আখড়া। গোটা মার্কেটে গ্রুপে গ্রুপে মদ্যপরা বসে যায় তাদের নিত্যদিনের পসরা সাজিয়ে। কৌটা, ট্যাবলেটের নেশায় মাথা ভারী হাওয়া মাতালরা জাকিয়ে বসে মার্কেটের ভিতরে।স্বাভাবিক ভাবেই মার্কেট থেকে চুরির মতো ঘটনায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *