ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ডিসেম্বর।।
রাজধানী জুড়ে বাইক-স্কুটি ও গাড়িতে প্রেস স্টিকারের ছয়লাপ। শহরে চক্কর কাটলেই চোখে পড়ে প্রেস স্টিকার সাঁটানো গাড়ি।অভিযোগ, প্রেস স্টিকার সাঁটানো বাইক-স্কুটি ও গাড়িতে চলে নেশা বাণিজ্য।শুধু কি তাই, গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র’র ছোট চালান বহনের কাজেও।এই সংক্রান্ত খবর রয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দার কাছেও।গভীর রাতে শহরে প্রেস স্টিকার সাঁটানো গাড়ি ঘুরাফেরা করে থাকে।কিন্তু প্রেস স্টিকার ঢাউস করে লাগানোর কারণে পুলিশও এই সমস্ত যানবাহনের দিকে নজর দেয় না।আর প্রেস স্টিকার লাগানো বাইক-স্কুটি তো শহরে অহরহ দেখা যায়।
গোয়েন্দার দাবি, রাজধানীর নেশা কারবারীরা তাদের নেশা সামগ্রী আনা-নেওয়ার জন্য প্রেস স্টিকার সাঁটানো বাইক-স্কুটি ও গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। পুলিশের চোখ এড়ানোর জন্যই কারবারীরা হাতিয়ার করছে প্রেস স্টিকারকে। রাতের আধারে শহরে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা শহরের রাস্তায় থাকেন না।মূলত টিএসআর ও পুলিশ কনস্টেবলরাই থাকেন।তারা প্রেস স্টিকার সাঁটানো গাড়ি দেখলেও ঝামেলা এড়ানোর জন্য,গাড়িগুলিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেনা।এটাও বাস্তব,মূল স্রোতে থাকা সাংবাদিকরা তখন দাপ্তরিক কাজ সেরে বাড়ির রাস্তা ধরেন।স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের পক্ষে বুঝা কঠিন কারা মূল স্রোতের সাংবাদিক বা কারা অপরাধ জনিত কাজের জন্য প্রেস স্টিকার ব্যবহার করছে।
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দার তথ্য অনুযায়ী, ইদানিং বাইক-স্কুটি ও গাড়িতে বাইক স্টিকার সাঁটানোর প্রবনতা অনেক বেড়ে গেছে।অপরাধীরা তাদের অপরাধ জনিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহার করছে প্রেস স্টিকার।গোয়েন্দার পক্ষ থেকে বেশ কিছু সন্দেহ জনক বাইক-স্কুটার-গাড়ির নম্বর তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে।পুলিশ এই সংক্রান্ত যানবাহনগুলির গতিবিধির উপর নজর রেখে চলছে।সংশ্লিষ্ট বাইক-স্কুটার-গাড়ি কখন, কোথায় যাচ্ছে তার খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ।তবে এরকম ঘটনা নতুন নয়, কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে গাড়িতে প্রেস স্টিকার সেটে বহু নেশা কারবারীরা দেদার কারবার করেছে।পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম গাড়ি আটকও করেছে।মাঝখানে কিছুটা কম ছিলো।কিন্তু সম্প্রতি প্রেস স্টিকারকে ব্যবহার করে অপরাধ মূলক কাজ কর্ম সংঘটিত করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র। এই বিষয়টি বর্তমানের যথেষ্ট স্পর্শকাতর।ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠছে রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য। এবং তাতে সমস্যায় পড়তে হবে মূল স্রোতে থাকা সাংবাদিকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *