ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
                  প্রচারের আলোতে কৈলাসহরে পেঁচারদহর গ্রাম। গোটা গ্রামে এখন সাজো সাজো রব। সেজে উঠেছে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত।মনু নদীর তীরে গড়ে উঠা মিশ্র জনবসতি গ্রাম পেঁচারদহরে আসছেন “শৃঙ্গেরী বালাজী”। ভগবান বালাজীর জন্য গড়ে তুলা হয়েছে বসত ঘর অর্থাৎ”মন্দির “। এখন থেকে শৃঙ্গেরী বালাজী হয়ে উঠবেন মনু নদীর তীরে প্রাকৃতিক  মনোরম সৌন্দর্যে ঘেরা টোপ গড়ে উঠা পেঁচারদহর গ্রামের “আবাসিক”। দক্ষিণ ভারতের শৃঙ্গেরী শারদা পীঠম নামক একটি ট্রাস্টের উদ্যোগে স্থাপিত হচ্ছে শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দির। এই মহৎ কাজের হোতা রাজ্যের কোনো মন্ত্রী নন, মূল কান্ডারী আইএসএস অভিষেক চন্দ্রা। সোমবার সকাল ১১টায় শৃঙ্গেরী বালাজি মন্দিরের শুভ উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা।তিনি সকল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে রওনা হবেন কৈলাসহরের উদ্দেশ্যে।


মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে থাকবেন শৃঙ্গেরী শারদা পীঠম ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ভিআর গৌরীশঙ্কর। ট্রাস্টের সিইও পিএ মুরালি, প্রশাসক অভিষেক চন্দ্রা । শৃঙ্গেরী শারদা বিদ্যামন্দিরের সম্পাদক অমৃত কুমার ভট্টাচার্য,শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দির ত্রিপুরা শাখার প্রধান স্বপন ভট্টাচার্য, শৃঙ্গেরী শারদা বিদ্যামন্দিরের উপাধ্যক্ষ সুব্রত শীল। ইতিমধ্যেই মন্দিরের শুভ উদ্বোধনের জন্য রবিবার রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন পুরোহিতরা। অযোধ্যার রাম মন্দিরের ন্যায় শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন বহিঃ রাজ্যের দুই পুরোহিত।


”  কৈলসহরের শান্ত জনপদ পেঁচারদহর গ্রামবাসীরা অনেক  স্বপ্ন দেখতো। তাদের এই স্বপ্ন মনু  নদীর মৃদু ঢেউয়ে ফিসফিস করতো। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি, স্বপ্ন সাকার করতে। বাঙালি – জনজাতি, মণিপুরী – বাগানী সম্প্রদায়ের মানুষের মিশ্র জনবসতি পেঁচারদহর এখন জায়গা করে নিয়েছে দেশের আধ্যাত্মিক মানচিত্রে।”- বলছেন গ্রামের সাধারন মানুষ।বলা চলে, এক সময়ের অজ গ্রাম পেঁচারদহরে সূচনা হলো নতুন অধ্যায়।তাতে থাকবে সাধারন মানুষের অগ্রগতি-সমৃদ্ধি। পেঁচারদহরের গ্রামবাসীরা,  তার জন্য অবশ্যই প্রশংসা করতে কোনো কার্পণ্য করছে না আইএএস অভিষেক চন্দ্রার। মূলত তার অদম্য প্রচেষ্টার সফল পেলো এই  গ্রামের মানুষ। শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দিরের জন্য সরকারী ভাবে জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির তৈরি এবং মন্দিরের উদ্বোধন সব কিছু পেছনে আছে অভিষেক চন্দ্রার ঘাম ঝরানো পরিশ্রম। “এখন অবশ্যই রাজ্য মন্ত্রিসভার দুই সদস্য শুকুনের মতো চেয়ে আছেন, মন্দির তৈরির কৃতিত্ব হরণ করার জন্য।”- সরাসরি অভিযোগ করেছেন পেঁচারদহরের মানুষ।যাই হোক না কেন, “অজ গ্রাম” পেঁচারদহর এখন প্রচারের আলোর কেন্দ্র বিন্দুতে।


অভিযোগ,  শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দির মাথা তুলে দাড়াতেই মাঠে নামেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী । তারা ক্রেডিট নেওয়ার জন্য শুরু করেন দৌড়ঝাঁপ। শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দিরের স্থল পেঁচারদাহর গ্রামটি ফটিকরায় ও চন্ডীপুর বিধানসভার মাঝখানে। অর্থাৎ দুই বিধানসভার জিরো পয়েন্টে।স্বাভাবিক ভাবেই এই দুই বিধানসভার দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। “কৃতিত্ব” হরণ করতে তাদের কোনো রকম লজ্জা বোধও হচ্ছে না। শৃঙ্গেরী বালাজী মন্দিরের “কৃতিত্ব” হরণ করতে তারা নগ্ন হয়েই খেলা শুরু করেছে। এই ঘটনা পেঁচারদাহর গ্রামের মানুষের কাছে ওপেন সিক্রেট। আর মন্ত্রিসভার দুই সদস্যের যাঁতাকলে প্রাণ উষ্ঠাগত হয়ে উঠছে খোদ মন্দির তৈরির কারিগর আইএএস অভিষেক চন্দ্রার।
        

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *