ডেস্ক রিপোর্টার, ৯মার্চ।।
                  ” হাতি মরলেও লাখ টাকা“–বাংলায় এই প্রবাদটির যথার্থ বাস্তবায়ন দেখা গিয়েছে তেলিয়ামুড়া রেঞ্জে। তাই চোরা চালানকারীরা মরা হাতির দাঁত নিয়ে টানাটানি করলেও নিশ্চুপ বন দপ্তর।তদন্তের নামে বেলেল্লাপনা শুরু করে দিয়েছে তেলিয়ামুড়া বন দপ্তর। সাত সকালে একটি মরা হাতির দাঁত কিভাবে চোরা চালানকারীরা নিয়ে গিয়েছে? আজও তার কোনো কারণ দর্শাতে পারে নি বন আধিকারিকরা।এবং মরা হাতির দাঁত চুরি করার অপরাধে বন দপ্তর কাউকে গ্রেফতারও করতে পারে নি। আসলে সবটাই লোক দেখানো। দীর্ঘ দিন ধরেই বন দস্যু, চোরা চালানকারীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতার করে জঙ্গলকে অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করছে খোদ বন দপ্তরের অধিকারীরা।


সম্প্রতি তেলিয়ামুড়া রেঞ্জে চলন্ত রেলের ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয়েছিলো একটি হাতির। সাত সকালে এই ঘটনা। হাতির মৃত্যুর পর পরই বনদপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হাতিটিকে ঘিরে ফেলেছিল চোরা চালানকারীরা। মুহূর্তেই রেল ট্র্যাকের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতির একটি দাঁত কেটে নিয়ে যায় চোরাচালানকারী দল। তারা  মৃত হাতির দাঁত কেটে নিয়ে গোপন ডেরায় আশ্রয় নেওয়ার পর হন্তে দন্তে ঘটনাস্থলে যায় বনদপ্তরের লোকজন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরজমিনে তদন্ত করে এবং মৃত হাতির একটি দাঁত হদিস হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
                ঘটনা সময়  অকুস্থলে উপস্থিত বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, “চোরাচালান কারীরাই মৃত হাতির দাঁত কেটে নিয়ে যায়।”তাদের প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছিল। বনদপ্তরের লোকজন মৃত হাতিটিকে রেল ট্র্যাকের পাশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিল। এরপর মৃত হাতির খোয়া যাওয়া দাঁত খোঁজে বের করার জন্য বন দপ্তর পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করেছিলো। এই তদন্তের ফল কি? এটা অবশ্যই আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায় নি বন দপ্তর। বন আধিকারিকদের হাব ভাব থেকে স্পষ্ট, “তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া এখন বিশবাও জলে। তারা কোন দিনেই মৃত হাতির দাঁত কেটে নেওয়া চোরাচালানকারীদের জালে তুলতে পারবে না।


কারণ জঙ্গলের চোরা চালানকারীরা বন আধিকারিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই বনজ সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই কোনো কালেই অপরাধ সংঘটিত করার কারনে বনের চোরা কারবারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সমস্ত ঘটনাই বন দপ্তরের কবরে চাপা পড়ে যায়। একই ঘটনার পুনরবৃত্তি হয়েছে তেলিয়ামুড়াতে রেল ট্রাকে হাতি মৃত হাতির দার খোয়া যাওয়ার পরও।
               

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *