ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪ফেব্রুয়ারি।।
             রোমান স্ক্রিপ্ট ইস্যুতে প্রদ্যুৎ কিশোরের “ধন্যবাদে”র তালিকায় নেই রাজ্যের পূর্বতন শাসক দল সিপিআইএম। প্রদ্যুৎ কিশোর তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একবারের জন্যও  সিপিআইএমের নাম উল্লেখ করেন নি। অথচ তিনি কৃতজ্ঞা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাকে। কংগ্রেসের প্রশংসা করতেও কৃপণতা করেন নি তিনি। প্রদ্যুৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পস্ট ভাবেই বলেছেন, বিজেপি ও কংগ্রেসের কোনো নেতার সঙ্গেই তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে সিপিআইএম নেতাদের সঙ্গে প্রদ্যুৎ কিশোরের সম্পর্ক কি? এটা অবশ্যই তিনি খোলসা করেন নি। মঙ্গলবার প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছিলেন।এখানেই প্রদ্যুৎ বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সখ্যতা কতটা।


রাজনীতিকদের প্রশ্ন, প্রদ্যুৎ কিশোরের এই পোস্টের পর  বাম নেতাদের কোনো হুশ ফিরবে কি? কারণ রোমান স্ক্রিপ্ট ইস্যুতে মেলারমাঠের লাল বাড়ির নেতারা আগ বাড়িয়ে সমর্থন করেছিলেন।
দলীয় ভাবে জারি করেছিলেন বিবৃতি।তারা ঘুর পথে সমর্থন করেছিলেন টিআইএসএফের বনধকেও। এটা অবশ্যই বামেদের নতুন কিছু নয়। বামপন্থীরা বরাবর রাজ্যে জনজাতি তোষনের রাজনীতি করে গেছে। শেষ পর্যন্ত ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় থেকে বামেদের শুন্য হাতে বিদায় করে দেয় জনজাতিরা। বাঙালিদের কল্যাণে ১১টি আসন দখল করেছিলো। এখন হাতে আছে ১০টি আসন।


রাজনীতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টে সিপিআইএমের নাম উল্লেখ না করে  প্রদ্যুৎ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বামেদের পছন্দই করেন না। মেলারমাঠের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। প্রদ্যুৎ যে বারবার সিপিআইএমকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাইছেন।তা কি বুঝতে পারছেন না বামপন্থী নেতারা?


২৩- র বিধানসভা নির্বাচন থেকে হালের রোমান হরফ ইস্যুতে তিপ্রামথা ও প্রদ্যুৎ কিশোরের  সঙ্গে সিপিআইএম আগ বাড়িয়ে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতোই লম্ফজম্ফ করছে।  রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারই সিপিআইএমকে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার তকমা দিয়েছিলেন। এটা এখন অক্ষরে অক্ষরে  মিলে যাচ্ছে রাজ্যের বাম নেতৃত্বের কার্যকলাপে। তার জন্য অবশ্যই বাম নেতৃত্বের লজ্জা থাকা উচিত। আদৌ লজ্জা থাকবে কি? নাকি উঠে যাবে লজ্জার ভূষণ? বলবে সময়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *