ডেস্ক রিপোর্টার,১ ডিসেম্বর।
সুবল ভৌমিক।তিনি প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।কিন্তু প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর “পদ” কি? প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
পুর ভোটে সাফল্য পাওয়া জন্য সুবল ভৌমিক রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন হোয়াটস এপ্স গ্রুপে সুবল ভৌমিকের অভিনন্দন বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে কাউকে পাঠাচ্ছেন সুবল ভৌমিকের এই শুভেচ্ছা বার্তা। তাতে অবশ্যই দোষের কিছু নেই।দলের সাফল্যের পর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে পারেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, সুবল ভৌমিক দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপে।কেন? তৃণমূলের কর্মীরা জানিয়েছে, শুভেচ্ছা বার্তার নীচে লেখা রয়েছে “শ্রী সুবল ভৌমিক/ কনভেনার/
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।” এক্ষেত্রে সুবল ভৌমিক দলের মধ্যে নিজের সাংগঠনিক “পদ” নিয়ে অন্যান্য নেতা-কর্মী-সমর্থক সহ সাধারণ মানুষকে ভুল বার্তা দিচ্ছেন।কারণ সুবল ভৌমিক প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের “স্টিয়ারিং কমিটির” কনভেনার। অথচ বিভিন্ন গ্রুপে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়েছে,সুবল ভৌমিক প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার।
তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, এখনো দলের প্রদেশ কমিটি গঠিত হয়নি।শুধু মাত্র প্রদেশ স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়েছে।কিন্তু সুবল ভৌমিক কেন সব বুঝে-সুঝে নিজেকে প্রদেশ কমিটির কনভেনার বলছেন? কর্মীদের যুক্তি, প্রদেশ কমিটি ও প্রদেশ স্টিয়ারিং কমিটির মধ্যে রাত-দিন পার্থক্য রয়েছে। ক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন,সুবল ভৌমিকের এই শুভেচ্ছা বার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব।অথচ তিনিও মুখে কুলুপ এটে রেখেন! এর ফলে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কাছে দলের অনুশাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাদের প্রশ্ন,তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে কি কোনো অনুশাসন নেই?ইচ্ছা হলেই নেতারা নিজেদের মত করে সাংগঠনিক “পদ” লাগিয়ে নিতে পারে নিজেদের নামের পাশে।আর যদি এমন না হয়ে থাকে তাহলে দলের নীতি নির্ধারকরা এই বিষয়ে কেন কোনো বক্তব্য দিচ্ছেন না এখনো? এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুবল ভৌমিকও ভুল বুঝিয়ে চলছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *