ডেস্ক রিপোর্টার,১৬জানুয়ারি।।
              ১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তারুণ্যের কাছে সুপার ফ্লপ করেছিলো সিপিআইএমের বৃদ্ধ তন্ত্রের। বামের বৃদ্ধ সেনানীরা বিজেপির তরুণ সেনাদের কাছে কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। তার ফল পাওয়া গিয়েছিল ১৮- র ৩রা মার্চ।
              এখন আবার ২৩- র মহারণ। সব কয়টি রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে করছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পিছিয়ে নেই প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম। কিন্তু এবারও কি একই ভুল করবেন বাম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।নাকি মুচর দেবে। রাজনীতিকরা বলছেন,এই রাজ্যে বামেরা দুই ধাপে দীর্ঘ ৩৫বছর রাজত্ব করলেও যুবা নেতৃত্বকে সেই ভাবে তুলে ধরতে পারেনি। তাদের ভাষায়, দলের যারা যুব নেতৃত্ব,তাদের বয়সও পঞ্চাশের উর্ধ্বে।তাপস দত্তের মতো নেতা ১৮ র বিধানসভা নির্বাচনেও টিকিট পায় নি। ভাগ্য জুড়ে টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন  অমল চক্রবর্তী।এরকম আরো বেশ কয়েকজন নেতা যোগ্যতা থাকা সত্বেও বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন নি। বিশালগড়ের পার্থ প্রতিমও আছেন বঞ্চিতের তালিকায়। এবার কি সিপিআইএম যুবকদের দিকে ধাবিত হবে?
              রাজনীতিকদের দাবি, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে সিপিআইএমকে তুলে আনতে হবে যুবকদের। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাদের করতে হবে প্রার্থী।অন্যথায় কোনো লাভ হবে না। কারণ সিপিআইএমকে এবার সমতলে লড়াই করতে হবে বিজেপির সঙ্গে। এবং পাহাড়ে লড়াই করতে হবে তিপ্রামথার সঙ্গে। এই দুইটি রাজনৈতিক দলের সিংহ ভাগ প্রার্থীই থাকবেন বয়সে তরুণ।তাদের সঙ্গে সিপিআইএমকে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করতে হলে দরকার যুব প্রার্থী।এবং শিক্ষিত ও জনমনে গ্রহণযোগ্যও বটে। নয়তো নির্বাচনের আগেই পিছিয়ে পড়তে হবে অতীত রাজনীতির দানবীয় শক্তিকে।
              কারণ যুব ভোটারদের সংখ্যা অনেক বেশি।একমাত্র যুব প্রার্থীরা তাদের কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠবে।স্বাভাবিক কারণেই যুব প্রার্থীরা সৃষ্টি করতে পারবে চমক।নয়তো এই  ফ্লেভার ধরে  ফেলবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি।কারণ রাজনীতির জটিল অঙ্কে বামেদের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই নবীন প্রবীণের মিশেলে প্রার্থী দিলে বামেরা ভোট ময়দান থেকে তুলতে পারবে ফসল।নয়তো ভোটে ১৮ – র পুনরাবৃত্তি হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *