ডেস্ক রিপোর্টার, ১১অক্টোবর।।
২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের ভর কেন্দ্রে চলে এসেছে তিপ্রামথা। এই মুহুর্তে মথা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্ব পূর্ণ। মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর বিলক্ষণ তা বুঝতে পেরেছেন।এই কারণেই বিশেষ ভাবে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসকে লেজে নিয়ে খেলা শুরু করেছেন। তবে কংগ্রেস ও ভাজপা উভয় শিবিরই প্রদ্যুৎকে ধরে রাখতে মরিয়া।
খবর অনুযায়ী, প্রদ্যুৎ কিশোর কংগ্রেস- বিজেপি উভয় রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সমান ভাবে সম্পর্ক রেখে চলছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে যেমন সাক্ষাত করেছেন, তেমনি তিনি গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারেও। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। উভয় রাজনৈতিক দল প্রদ্যুৎকে নানারকম প্রস্তাব দিচ্ছে।
দিল্লির একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড ব্যতীত প্রদ্যুতের অন্যান্য দাবি মেনে নিতে কোনো অসুবিধা নেই শাসক দল বিজেপির। এডিসিতে সরাসরি অর্থ প্রদান সহ ইনার লাইন পারমিট। সঙ্গে মন্ত্রিত্ব, সাংসদের বানানো টোপ। খবর, ইনার লাইন পারমিটের টোপ নাকি প্রদ্যুতের মন ধরেছে। রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট অনুমতি পেলে এটাও তিপ্রাসাদের নৈতিক জয়ের একটি হবে মনে করছেন মথা নেতৃত্ব। তাহলে এডিসি এলকাগুলিতে তিপ্রাসাদের স্বতন্ত্র ভাবে আরও বেশি ক্ষমতা জাহির করতে পারবে। বাড়বে এডিসির রাজকোষও। এতে অবশ্যই প্রদ্যুৎ কিশোর মাইলেজ পাবেন পাহাড়ে। কিন্তু সমস্যা বাড়বে বাঙালিদের।
ত্রিপুরার মানচিত্র অনুযায়ী, রাজ্যের মাত্র মাত্র ৩১ শতাংশ উপজাতিদের জন্যে রাজ্যের ৭০ শতাংশ ভূমি এডিসিভুক্ত করা হয়েছে।অর্থাৎ ত্রিপুরার মোট আয়তন ১০,৪৯২ বর্গ কিমির মধ্যে ৭,১৩২ বর্গ কিমি। সেই রাজ্যেও যদি ইনার লাইন পারমিট চালু করা হয় তাহলে রাজধানী আগরতলা থেকে উত্তরে ধর্মনগর ও দক্ষিণে সাব্রুম যেতে এডিসি এলাকায় অন্তত নয়বার প্রবেশ করে বের হতে হবে। অর্থাৎ সরকারী পরিভাষায় লাগবে পারমিট। রাজ্যের এই ভৌগলিক অবস্থানে ইনার লাইন পারমিট চালু হলে দারুন ভাবে হেনস্থার শিকার হবে অনুপজাতি অংশের মানুষ।তখন পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে। তবে ভোট যে বড় বলাই।