ডেস্ক রিপোর্টার, ১১অক্টোবর।।
সাঙ্গ হলো শারদ উৎসব ও কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। চলতি মাসেই আছে দীপাবলী ও ভাই ফোঁটা। অর্থাৎ ভর উৎসব মরশুম।
উৎসব আবহের মধ্যেও রাজ্য জুড়ে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ। কেননা হাতে গুনা আর চার মাস বাকি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের। যদি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নির্বাচন হয়,তাহলে সময় আরো কম।
২৩-র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বিভিন্ন ভোট সমীক্ষাকারী সংস্থা। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে সমীক্ষা করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। এই মুহুর্তে বেশ কয়েকটি সমীক্ষাকারী সংস্থা রাজ্যে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে একটি “ধ্রুব রিসার্চ”।এই সংস্থা সমীক্ষা করছে গোটা রাজ্যে। তবে সংস্থার কর্তাদের দাবি, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে সমীক্ষা করছে না। তারা মূলত ত্রিপুরা সরকারের হয়ে সমীক্ষা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এধরনের কোনও ঘোষনা দেওয়া হয়নি।
“ধ্রুব রিসার্চ” সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কি কি সমস্যায় আছে? কি করলে সমস্যার সমাধান সূত্র বের হবে? বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষের কতোটা আস্থা আছে? এই সংক্রান্ত নানাহ প্রশ্ন করছে সাধারণ মানুষকে।তাও আবার মোবাইলে। মানুষ তাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে,অনেকেই আবার দিচ্ছেন না।কেউ কেউ বাস্তব কথাটা বলছেন না। ঘুরিয়ে বললে, প্রকারন্তে এটা একটা পূর্ণাঙ্গ ভোট সমীক্ষা।
“৯২৯৭৯৪৫৮৫৬” – এই মোবাইল নম্বর সহ আরও বেশ কিছু মোবাইল নম্বর থেকে সাধারণ মানুষের মোবাইলে কল করছে সমীক্ষাকারী সংস্থা ধ্রুব রিসার্চ’র “বেতন ভুক্ত” কর্মীরা। অর্থাৎ ঘরে বসেই সেরে নিয়ে সমীক্ষার কাজ। এটা অবশ্যই তাদের বিষয়।কিন্তু আতঙ্কও বটে। কেননা “ধ্রুব রিসার্চ” সংস্থার এক কর্মী মোবাইলে কথোপকথনের সময় বলছেন, তারা প্রশ্ন- উত্তর পর্বের সময় সাধারন মানুষের সমস্ত ভয়েস রেকর্ড করছে। তবে এই বিষয়টি প্রশ্নের উত্তর দাতাকে আগাম জানানো হয়নি। অর্থাৎ মানুষকে গোপন রেখেই তাদের ভয়েস রেকর্ড করছে ধ্রুব রিসার্চ।
মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ধ্রুব রিসার্চের কর্মী পরিচয় দিয়ে ৯২৯৭৯৪৫৮৫৬ নম্বর থেকে ফোন করা ব্যক্তি বলছেন,”মানুষকে না জানিয়েই তাদের ভয়েস রেকর্ড করা হচ্ছে।” আইনের পরিভাষায়, এটা দণ্ডনীয় অপরাধ।নিয়ম অনুযায়ী, কোনো নাগরিকের ভয়েস রেকর্ড করতে হলে, তার আগাম অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। কিন্তু তা করছে না “ধ্রুব রিসার্চ”।
রাজনীতিকরা বলছেন,ধ্রুব রিসার্চ সমীক্ষাকারী সংস্থার সমীক্ষা পদ্ধতিতে অসংখ্য ত্রুটি রয়েছে। এই সংস্থার সমীক্ষা ধরে রাজ্য সরকার বা শাসক দল বিজেপি বা অন্য রাজনৈতিক দল কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার খেসারত দিতে হবে।কারণ ধ্রুব রিসার্চ সংস্থার ত্রুটি যুক্ত সমীক্ষা কোনো ভাবেই বাস্তবের সঙ্গে মিলবে না। তারা শুধু মাত্র মোটা অঙ্কের টাকার জন্য নাম- কে – ওয়াস্তে সমীক্ষা করছে, ঘরের চার দেওয়ালের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আবহে বসে। তাই বহু টাকা ব্যয়ে সমীক্ষাকারী সংস্থা “ধ্রুব রিসার্চ”র সমীক্ষা রিপোর্ট ভালো করে পর্যালোচনা করেই রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো গুরুত্ব পূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার, শাসক দল বা অন্য কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের সমীক্ষাকারী সংস্থার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এমনও হতে পারে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে সমীক্ষা করছে ধ্রুব রিসার্চ। কিন্তু তারা সাধারন মানুষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য নিজেদের রাজ্য সরকারের সমীক্ষাকারী সংস্থা বলে দাবি করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনীতিকরা।ভোট সমীক্ষাকারী সংস্থা “ধ্রুব রিসার্চ” ইন্টারনেটে তাদের নানান সময়ের সফল ভোট সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরেছে। কিন্তু এই তথ্য কতটা বাস্তব?