ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯মার্চ।।
             ২৪ – র লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল বিজেপি। রাজ্যের দুইটি লোকসভা আসন দখলের জন্য সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাপাবে শাসক শিবির। এখন পর্যন্ত ধারেবারে ভারতীয় জনতা পার্টিই ফেভারিট।বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।


অষ্টদশ লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য স্তর থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে শুরু হয়েছে বৈঠক। উদ্দেশ্য নির্বাচনের আগে দলকে ভালো ভাবে সাজানো।সংগঠনকে আরোও মজবুত করা। অবশ্যই প্রতিটি স্তরে হবে সাংগঠনিক রদবদল। বুথ স্তরে শুরু হয়েছে সাংগঠনিক বৈঠক।এই বৈঠকে ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে নেতা -কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন নিয়ে হচ্ছে চুল চেরা বিশ্লেষণ।


তুলনা মুলক ভাবে কম পারফরমেন্স করা নেতাদের বুথের কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।কর্মীদের মধ্য থেকে নিষ্ঠাবান পরিশ্রমীদের জায়গা দেওয়া হবে বুথ কমিটিতে। এই সিধান্ত নিয়েছে রাজ্য কমিটি।


প্রতিটি বুথের সাংগঠনিক রদ বদলের দায়িত্বে থাকবে মণ্ডল নেতৃত্ব। মণ্ডল নেতারা সাজাবেন প্রতিটি বুথ। এই নতুন বুথ কমিটি দিয়েই ২৪ – র জাতীয় ভোট যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যে নামবে বিজেপি। একই কায়দায় বুথ স্তরের কমিটি গঠনের পর  হবে মণ্ডল কমিটি।মণ্ডলের সাংগঠনিক বিষয় দেখাশুনার দায়িত্বে থাকবেন জেলা নেতৃত্ব। ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে মণ্ডল নেতৃত্বের কাজের মূল্যায়ন করবেন জেলা নেতৃত্ব। মূলত জেলা নেতৃত্ব ও স্থানীয় বিধায়ক নির্ধারণ করবেন মণ্ডল কমিটি। একই ধারাতে হবে জেলা কমিটির রদ বদল। জেলা স্তরের নেতাদেরও কাজের মূল্যায়ন করা হবে।


ভালো পারফম্যান্সকারীদের  রাখা হবে জেলা কমিটিতে। আবার নতুন করে উঠে আসা কর্মীদের জায়গা দেওয়া হবে কমিটিতে। জেলা কমিটি সাজানোর ক্ষেত্রে মূল দায়িত্বে থাকবে রাজ্য কমিটি। সর্ব শেষে হবে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি। যদি ধনপুর থেকে বর্তমান সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য লড়াই করেন এবং জয়ী হন,তাহলে তার সভাপতির দায়িত্ত্ব থেকে সরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।এক্ষেত্রে করা হবে নতুন সভাপতি।অন্যথায় রাজীব ভট্টাচার্যই থাকবেন সভাপতির চেয়ারে।


তবে রাজ্য কমিটিতে হবে রদ বদল।বর্তমান কমিটি থেকে অনেকেই বাদ পড়তে পারেন।আবার অনেক নতুন মুখ জায়গা পেতে পারেন রাজ্য কমিটিতে। এমন খবর কৃষ্ণ নগর গেরুয়া বাড়িতে।


তবে এটা স্পষ্ট,২৪ র লোকসভা নির্বাচনকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না বিজেপি। যেকোনো মূল্যে দুটি আসন তারা নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দিতে চাইছেন বলে জানিয়েছে বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্ব।রাজনীতিকরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিরোধী দল গুলি খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। বাম – কংগ্রেস জোট এক হলেও মানুষের কাছে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা কম।


বিরোধী দল তিপ্রামথা লোকসভা ভোটে কতটা কি করতে পারবে তা বলবে সময়েই।লোকসভার দুই কেন্দ্রেই বাঙালি ভোটারের সংখ্যা বেশি।


বাঙালি ভোট ব্যাংক তিপ্রামথার দিকে যে ঝুঁকবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে ২৪- র ভোট যুদ্ধে জমাটি ভাবেই মাঠে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যে তার আভাস দিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *