ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯এপ্রিল।।
            প্রতি বছর শুখা মরশুমে রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল গুলিতে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দেয়। শুকিয়ে যায় নদী,ছড়া ও পাহাড়ের গা ঘেঁষে থাকা কাচা কুয়োর জল। তখন থাকেনা বৃষ্টিও। কারণ বৃষ্টি হলে গিরিবাসীরা সেই জল মজুত করে রাখে।কিন্তু শুখা মরশুমে তা সম্ভব হয় না। স্বাভাবিক ভাবে বড়মুড়া,আঠারোমুড়া ও লংতরাইয়ে বসবাসকারী লোকজনের পক্ষে জলের তেষ্টা মেটানো কঠিন হয়ে উঠে। একেকটা জল বিন্দুর মূল্য তাদের কাছে অনেক।


অন্যান্য বছরের মতো এবারও পাহাড়ে একই অবস্থা।জলের জন্য চলছে হাহাকার।প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গেলে দেখা যায় গিরিবাসীরা পাহাড়ে জলের পাত্র সারি বদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রেখেছে।কখন আসবে জলের ট্যাঙ্কার?এই আশায়।বড়মুড়া,আঠারোমুড়া ও লংতরাইয়ের অধিকাংশ অঞ্চলেই নেই জলের স্থায়ী উৎস।


বিভিন্ন ব্লক থেকে সপ্তাহে এক বার বা দুই বার গ্রামে গ্রামে জল দেওয়া হয়। এই জলের জন্য গিরিবাসীদের অপেক্ষা করতে হয় গোটা সপ্তাহ।


রাজ্যের  সহজ সরল গিরিবাসীদের এই সমস্যার সমাধান কেউ করছে না কেন? এখন এডিসিতে ক্ষমতায় রয়েছে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা।প্রদ্যুৎ নিজেই জনজাতিদের সমস্ত মুস্কিল আসান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রদ্যুৎ বলছেন,”এই রাজ্যে আসা বাংলাদেশীদের (বাঙালি নাগরিক) জন্য নাকি জনজাতিদের উন্নয়ন থমকে গেছে”।


তাহলে কি পাহাড়ের মানুষের সদা জল সমস্যার জন্য দায়ী বাঙালিরা? অন্তত তিপ্রামথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোরের কথা থেকে এটাই প্রমাণিত হয়।কারণ জনজাতিদের অনুন্নয়নের জন্য প্রদ্যুৎ সর্ব ক্ষেত্রে বাঙালি ভূত দেখেন।


রাজনীতিকরা বলছেন, এই রাজ্যে কমিউনিস্টরা সবচেয়ে বেশি রাজত্ব করেছে। তারা জনজাতিদের এই সমস্যা সমাধানে ছিলো উদাসীন। শুধুমাত্র জনজাতিদের ভোট ব্যাংক হিসাবে তারা ব্যবহার করেছে। কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দশরথ দেব।তিনি কেন জনজাতিদের জলের সংকট মোচন করতে পারেন নি।


দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে ছিলেন মানিক সরকার।তারপরেই সময়ে নিরিখে ক্ষমতার অলিন্দে ছিল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিং থেকে শুরু করে সমীর রঞ্জন বর্মন এরা সবাই কংগ্রেসের ছিলেন।তারাও জনজাতিদের এই সমস্যায় দুর করতে পারেন নি।এখন ক্ষমতায় ভারতীয় জনতা পার্টি।


এডিসিতে এর আগেও আইপিএফটি ক্ষমতায় ছিলো।এখন তিপ্রামথা।জনজাতিদের সমস্যা সেই তিমিরেই। রাজন্য আমলে জনজাতিদের যে অবস্থা ছিলো,আজও তাই। জনজাতিদের এই অনুন্নয়নের জন্য কোন ভাবেই দায়ী নয় প্রদ্যুৎ কিশোরের “বাংলাদেশীরা”।


জনজাতিদের অনুন্নয়ন পেছনে মূলত দায়ী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস থেকে সিপিআইএম,বিজেপি।


আইপিএফটি থেকে তিপ্রামথা,কোনো রাজনৈতিক দল তার দায় এড়াতে পারবে না,বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *