ডেস্ক রিপোর্টার,৯ মার্চ।।
                  আইপিএফটি থেকে তিপ্রামথা। তিপ্রাল্যান্ড থেকে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড। এনসি থেকে প্রদ্যুৎ।উভয়েই খেলেছেন জনজাতিদের ভাবাবেগ নিয়ে। কোনো তফাৎ নেই। শুধু তফাৎ সময়ের।
           ১৮- তে আইপিএফটি জোট হয়ে বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করেছিল। এবং প্রথম দিন থেকেই সরকারে যোগ দিয়েছিল। মন্ত্রিসভায় ছিলো আইপিএফটির দুই জন সদস্য।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পাহাড়ে আইপিএফটি হয়ে গিয়েছিল সাইনবোর্ড সর্বস্ব।
              প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা ২৩- র নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট হয়ে লড়াই না করলেই, সুচতুর ভাবে ভাজপাকে সরকার গঠনে সাহায্য করে দেয়। তার উপহারও পেয়ে যায় প্রদ্যুৎ। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকারের এক বছর পূরণের আগেই তিপ্রামথা ভাজপা সরকারে যোগ দেয়। প্রয়াত এনসি দেববর্মার মার্গ দর্শনেই হাটলেন প্রদ্যুৎ। এনসির আইপিএফটি সরকারের সঙ্গে শুরু থেকেই ছিলো। আর প্রদ্যুতের মথা এক বছর সরকার থেকে দূরে ছিলো। পার্থক্য এটুকুই। আইপিএফটির মতোই ভাজপা লিড সরকারের মন্ত্রিসভায় মথার দুই সদস্য স্থান পেয়েছেন।


১৮- র  নির্বাচনের আগে প্রয়াত এনসি দেববর্মার আইপিএফটিও বিজেপির সঙ্গে যৌথ চুক্তিতে গঠন করেছিল মডারলিটি কমিটি। মূলত রাজ্যের জনজাতিদের আর্থ ও সামাজিক অবস্থার মান উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার জন্যই এই কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কিন্তু নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর কোথায় গিয়েছে “মডারলিটি কমিটি”? আজও এই প্রশ্নের উত্তর নেই সাইনবোর্ড সর্বস্ব আইপিএফটি নেতৃত্বের কাছে।


১৮- র কায়দায় ২৩শেও ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তিপ্রামথার নেতৃত্ব। এই চুক্তি অনুযায়ী, তারা একটি যৌথ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিও কাজ করবে সর্বোপরি জনজাতিদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে। কিন্তু ত্রিপাক্ষিক চুক্তিপত্রে জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট করে কি কি বলা হয়েছে? আজও প্রদ্যুৎ কিশোর জনসম্মুখে তা প্রকাশ করেননি যেটুকু বলেছেন, তা নিয়ে অবশ্যই ধোঁয়াশা রয়েছে। তিপ্রামথার সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জনজাতিদের মনে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আইপিএফটির তিপ্রাল্যান্ডের মতোই প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডও এখন বিশবাও জলে।


রাজনীতিকরা আশঙ্কা করছেন, ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রামথাও আইপিএফটির মতো পাহাড়ে সাইনবোর্ড সর্বস্ব হয়ে যাবে। তাদের খোঁজে পাওয়া হবে দুস্কর। তাই মথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ আগেই সংগঠনের মাথা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তিপ্রামথার মাথায় বসিয়ে ছিলেন বিজয় রাঙ্খলকে। এবং মথা সরকারে যোগ দেওয়ার পর জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রদ্যুৎ দাবী করেন, ” এই মুহূর্তে তিনি চাইছেন নিজের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টগুলি মুছে দিতে।” প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্য গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করলেই তিপ্রামথার আগামী দিনের রাজনীতির কালো ক্যানভাস স্পস্ট হয়ে উঠছে।
              

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *