#Dhalai।Gandachhera। Incident।Janatar Mashal।

১২ জুলাইয়ের ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। পরমেশ্বর রিয়াংকে মারধরের ঘটনার আগেই রাজনৈতিক নেতাদের মদতে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বাঙালি মহল্লায় হামলার স্ক্রিপ্ট রচনা করেছিলো।


গত কিছুদিন ধরে পুলিশ সন্দেহ জনক রাজনৈতিক নেতাদের ফোনের আড়ি পেতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। দুইটি রাজনৈতিক দলের গণ্ডাছড়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে ১২ জুলাইয়ের ঘটনার যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছে।

ক্রাইম ব্রাঞ্চ সন্দেহে ভাজন নেতাদের নামের তালিকাও তৈরি করেছে।

।।বিজ্ঞাপন।।

ডেস্ক রিপোর্টার,২ অক্টোবর।।
             গণ্ডাছড়ার ১২ জুলাইয়ের ঘটনা নিয়ে হাত খুলে কাজ করতে পারছে না ক্রাইম ব্রাঞ্চ। প্রাথমিক ভাবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৮জন রাজনৈতিক নেতার নাম সংগ্রহ করেছে। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১২ জুলাই-র ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতারা রাজ্যের দুইটি রাজনৈতিক দলের। দাবি অনুসন্ধানকারী ক্রাইম ব্রাঞ্চের। তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্ত নেতাদের নাম সনাক্ত করলেও তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারে নি এখন পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ’ র তদন্ত।


সম্প্রতি গণ্ডাছড়া সফরে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা ডিজিপি অনুরাগ ধ্যানকর।তিনি গণ্ডাছড়া পুলিশের সঙ্গে ১২- জুলাইয়ের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কি পরামর্শ বা নির্দেশ  দিয়েছেন তা খোলসা করেনি স্থানীয় পুলিশ।

।।বিজ্ঞাপন।।

ক্রাইম ব্রাঞ্চ – র দাবি, গত কিছুদিন তারা সন্দেহ জনক রাজনৈতিক নেতাদের ফোনের আড়ি পেতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। দুইটি রাজনৈতিক দলের গণ্ডাছড়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে ১২ জুলাইয়ের ঘটনার যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাদের নামের তালিকাও তৈরি করেছে। এই নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে আরক্ষা দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের কাছে।সঙ্গে সংগৃহীত তথ্য।
             

।।বিজ্ঞাপন।।

ক্রাইম ব্রাঞ্চ-র তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, ১২ জুলাইয়ের ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। পরমেশ্বর রিয়াংকে মারধরের ঘটনার আগে থেকে  রাজনৈতিক নেতাদের মদতে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বাঙালি মহল্লায় হামলার স্ক্রিপ্ট রচনা করেছিলো। তারা ছিলো শুধু সুযোগের অপেক্ষায়। দুষ্কৃতীদের টার্গেট ছিল আসন্ন শারদ উৎসবে ঝামেলা পাকানো।কিন্তু কাকতালীয় ভাবে এর আগেই পরমেশ্বর রিয়াংয়ে উপর হামলার ঘটনা ঘটে।তারপরই দুষ্কৃতীরা পাল্টে নেয় তাদের সিদ্ধান্ত। তার মধ্যেই মৃত্যু হয় পরমেশ্বরের। দুষ্কৃতীরা হাতে পেয়ে যায় আগুনের গোলা। আর সেই আগুনের গোলা দিয়েই ভষ্ম করে দেয় বাঙালিদের বাড়িঘর। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই হামলার রাতে দুষ্কৃতীরা বাঙালি মহল্লা থেকে ছিনতাই করা জিনিস পত্র লরিতে করে নিয়ে যায় নিজেদের গোপন ডেরায়।অর্থাৎ গন্ডাছড়ার সংখ্যাগুরুরা সংখ্যা লঘু বাঙালির উপর হামলার জন্য সমস্ত পরিকল্পনাই নিয়ে রেখেছিলো।ক্রাইম ব্রাঞ্চ – প্রাথমিক তদন্ত থেকে এটা স্পষ্ট।


আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-new-organization-of-traditionalists-of-gandachara-for-self-defense/

“হামলার আগের দিন রাতে স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের যুবকরা নিয়ম করেই স্থানীয় পেট্রোল পাম্প থেকে বাইক ও বোতলে পেট্রোল নিয়েছিলো।”


খবর অনুযায়ী, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “হামলার আগের দিন রাতে স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের যুবকরা নিয়ম করেই স্থানীয় পেট্রোল পাম্প থেকে বাইক ও বোতলে পেট্রোল নিয়েছিলো। প্রায় পঞ্চাশটির উপর মোটর বাইকে তারা পেট্রোল নিয়েছিলো। ঘটনার রাতে পাম্প থেকে সংগ্রহ করা পেট্রোল দিয়েই বাঙালিদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।”


https://x.com/janatarmashal24/status/1840020036292915345?t=ZTrPdRNbEKXq99KkF9G_SQ&s=19

ক্রাইম ব্রাঞ্চ – র এই তথ্য প্রমাণ করে ষড়যন্ত্রের জাল কতটা গভীরে প্রোথিত ছিলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই রিপোর্ট দেওয়া সত্ত্বেও তদন্তে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে কেন? কে বা কারা ঘটনা ধাপাচাপা দিতে পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছেন? রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক প্রাপক পুলিশ কি জন সন্মুখে মাস্টার মাইন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *