#Durgapuja #Teliamura #Dashami #Janatar Mashal

তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ১৩ অক্টোবর।।
তিথি অনুযায়ী শনিবার ছিলো দশমী। দেবী দুর্গার বিদায় পর্ব। মা মেনকাকে কাঁদিয়ে উমার কৈলাসে ফেরার পালা৷ মেয়ের বিদায় লগ্নে শুধু মা মেনকা একাই কাঁদেন না তাঁর সঙ্গে কেঁদে ওঠে কোটি কোটি বাঙালির প্রাণ। কেঁদে ওঠে গোটা বিশ্ব। কেঁদে ওঠে শহর থেকে সমতল।গ্রাম থেকে পাহাড়।
সাধারণ পঞ্জিকা মতে এই বছর নবমী এবং দশমী একই দিন ছিল। তাই নবমী দশমী মিলে মিশে একাকার। সারা বছরের অপেক্ষা যে চারটে দিনের জন্য, তাতে আবার ভাগ বসানো? কমে গেল একটা গোটা দিন। যদিও এই বছর রাজ্য জুড়েই পুজোর মেজাজ খানিক ফিকে। নেপথ্যে অবশ্যই ভয়াবহ বন্যা। কিছু কিছু মন্ডপ ব্যতীত রাজ্যের সর্বত্রই পঞ্জিকা মেনে প্রতিমা বিসর্জন হয়তো দশমীতেই হবে না। তবে হবে ঘট বিসর্জন। হিন্দু শাস্ত্রী বিশ্বাস করা হয়, ঘট বিসর্জনের পরের মুহূর্ত থেকেই প্রতিমা শুধুই মাটির পুতুল, তাতে আর প্রাণ থাকে না।

বছর ভরের অপেক্ষা,এত আলো-আনন্দ-আয়োজন ফুরিয়ে যাবে মুহূর্তে। উৎসব সত্য। তার চেয়েও বড় সত্য বিচ্ছেদ।
‘যেও না নবমী নিশি..’ বলে ডুকরে ওঠা রাজ্যের জাতি – জনজাতি মানুষের বিষাদের সুরে। এখন থেকেই আবার শুরু একটা গোটা বছরের অপেক্ষা, যে অপেক্ষার আরেক নাম “জীবন”।

এমন একটি দেবীর বিসর্জনে বিষাদ দৃশ্য ওঠে এলো রাজ্যের তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন দক্ষিণ মহারানীপুর কুঞ্জ মোহনপাড়া এলাকায় সার্বজনীন দুর্গোৎসবে। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে আয়োজকরা পুজো করে আসছে।

তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পাহাড়ি জনপথ এলাকা দক্ষিণ মহারানীপুর। এলাকার জনজাতি অংশের মানুষ জনধর্মীয় রীতিনীতি মেনে মা দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হন ।আসছে। মহকুমার এই ঐতিহ্যবাহী পূজার প্রতিমা ভাসান পর্ব শেষ হয় শনিবার রাতেই।বিষাদের সুরে মাকে বিসর্জন দিয়ে তারাও যেন বিষাদের ঘোরেই।