ভানুপদ চক্রবর্তীর পরিবর্তে ধলাই জেলার এসপি অবিনাশ রাইকে উত্তরের এসপি ‘ র অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া কতটা যুক্তি সঙ্গত?
সোমবার রাতে পানিসাগর থানার পেকুছড়া এলাকার একটি মন্দিরের শিব লিঙ্গ ভেঙ্গে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ছড়িয়ে পড়ে গোটা পানিসাগরে। অপর দল দুষ্কৃতি পাল্টা হামলা করে স্থানীয় একটি মসজিদে। পাল্টাপাল্টি ঘটনা কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে পানিসাগর।
গত ১২- জুলাই গণ্ডাছড়ার ঘটনার কোনো সুরাহা করতে পারেন নি আইপিএস অবিনাশ রাই।
।।বিজ্ঞাপন।।
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।। কদমতলার পর সাম্প্রদায়িক ইস্যূতে তপ্ত পানিসাগর। সংঘাত দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে। অভিযোগ, সোমবার রাতে পানিসাগর থানার পেকুছড়া এলাকার একটি মন্দিরের শিব লিঙ্গ ভেঙ্গে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ছড়িয়ে পড়ে গোটা পানিসাগরে। অপর দল দুষ্কৃতি পাল্টা হামলা করে স্থানীয় একটি মসজিদে।
।।পেকু ছড়ায় এই জায়গাতেই ছিলো শিব লিঙ্গ।এখন নিশ্চিহ্ন।
পাল্টাপাল্টি ঘটনা কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে পানিসাগর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে পুলিশ। উত্তর জেলায় ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিসেবা। জানিয়েছেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। এসপি’র কথায়, গুজব কেন্দ্র করে এই ঘটনা। পেকুছড়ার ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকায়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।
।।মাজারের ধ্বংসাবশেষ।।
উত্তর জেলায় ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
হিন্দু – মুসলিম ও জনজাতি সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই বাসা বেঁধেছে এই কায়েমী স্বার্থবাদী লোকজন।
।।বিজ্ঞাপন।।
এদিকে পানিসাগরের পেকুছড়ার ঘটনার পর পর বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই উত্তরের তৎকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়।ভানুপদ চক্রবর্তীকে ক্লোজ করা হয়েছে পুলিশ সদর দফতরে। তাঁর পরিবর্তে ধলাই জেলার এসপি অবিনাশ রাইকে উত্তর জেলার অতিরিক্ত এসপির দায়িত্ব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
।।আইপিএস অবিনাশ রাই।।
ভানুপদ চক্রবর্তীর পরিবর্তে ধলাই জেলার এসপি অবিনাশ রাইকে উত্তরের এসপি ‘ র অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া কতটা যুক্তি সঙ্গত?
কারণ ধলাই জেলার এসপি অবিনাশ রাইও নিজেও চূড়ান্ত ব্যর্থ। গত ১২- জুলাই গণ্ডাছড়ার ঘটনার কোনো সুরাহা করতে পারেন নি আইপিএস অবিনাশ রাই। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে তিনি আজ পর্যন্ত বিচার পাইয়ে দিতে পারেন নি। আজও গণ্ডাছড়ার মানুষ শরণার্থী ক্যাম্পে। অর্থাৎ গণ্ডাছড়া ইস্যূতে আই পি এস অবিনাশ নিজেই লেজে গোবরে।অবশ্যই গোটা রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। তারপরও ধলাইয়ের ব্যর্থ এসপিকে কিভাবে উত্তর জেলার আগুন নেভানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? তাহলে ভানুপদ চক্রবর্তীর দোষ কোথায়?এই নিয়েও জনমনে উঠছে প্রশ্ন।
।।আইপিএস অবিনাশ রাই আজও গন্ডাছড়ার অসহায় মা’ কে বিচার পাইয়ে দিতে পারেন নি।।
সাম্প্রদায়িক ইস্যু কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই চলছে হিস্ হিস্।
গোয়েন্দার খবর অনুযায়ী, কদমতলার ঘটনার পর থেকে উত্তর জেলাতে ফের হিংসার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এক শ্রেণীর স্বার্থনেশী মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছে। হিন্দু – মুসলিম ও জনজাতি সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই বাসা বেঁধেছে এই কায়েমী স্বার্থবাদী লোকজন। তারা কোনো না কোন ভাবে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।
।।গণ্ডাছড়ায় আজও শরণার্থী শিবিরে অসহায় মানুষ।।
আর এই কারণেই গন্ডাছড়ার পর রানির বাজার এবং কদমতলার পর পানিসাগরে ঘটছে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত। এই ইস্যু কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই চলছে হিস্ হিস্। প্রতিটি ঘটনার পর শাসক দল ঢিল ছুড়ে বিরোধী দল গুলির দিকে।আবার বিরোধীরা ছুঁড়ে শাসক দলের দিকে। উভয় শিবির কয়েকদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে ফটো সেশন করে মন্থ হয়ে বসে যায়।আর পুলিশ আঘোষিত ভাবে বন্ধ করে নেয় ফাইল।