চুড়াইবাড়ি ডেস্ক,৪মে।।
পঞ্চায়েত স্তরের ভোট ময়দানে চমক দিলো কংগ্রেস। কার্যত বিজেপিকে হারিয়ে ফের পঞ্চায়েত নিজেদের দেখলেই রেখেছে কংগ্রেস।ঘটনা উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতে। বাঘন পঞ্চয়েতে বিজেপি অনাস্থা প্রস্তাব এনেও ভোটের দিনে ভোট দান থেকে বিরত থাকে শাসক দলের সদস্যরা। পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস নিজেদের দখলে রেখে দেয় পঞ্চায়েত।
কদমতলা ব্লকের বাঘন পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৩জন। তারমধ্যে আট জন কংগ্রেসের। এবং পাঁচ জন ভারতীয় জনতা পার্টির। স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চয়েতটি ছিলো কংগ্রেসের দখলে।
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দীন চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি চক্রান্ত করে বিজেপি কংগ্রেসের দুই সদস্যকে পদ্ম শিবিরে টেনে নেয়।তখন পঞ্চায়েতে বিজেপি’র সদস্য সংখ্যা হয়ে যায় সাত জন। তারা যৌথভাবে কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চয়েতের প্রধান ফরিদা বেগম ও উপপ্রধান অজিত মালাকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে।
কদমতলা ব্লক কর্তৃপক্ষের কথায়, সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ব্লক নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার ছিলো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। প্রিসাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে নিয়ম মেনেই বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। ভোট চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ভোট কেন্দ্র করে বাঘন পঞ্চায়েতে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো আঁটোসাঁটো।
কদমতলা ব্লক থেকে আসা ভোটের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণ পর্বের পর শুরু হয় গণনা। তখন দেখা যায় বিজেপি’র একটিও ভোট পড়ে নি।এবং কংগ্রেসের দিকে ভোট পড়েছে মোট আটটি। প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য, ” বিজেপি’র নির্বাচিত পাঁচ সদস্য ভোট দেন নি।এবং কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই সদস্য ভোট দিয়েছেন কংগ্রেসের দিকেই। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের রেজাল্ট যায় কংগ্রেসের পক্ষে ( ৮-০)। নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থা ভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে পঞ্চায়েত পুনরায় পঞ্চায়েত দখল করেছে কংগ্রেস।
ভোট জয়ের পর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অজিত মালাকার জানিয়েছেন, “কংগ্রেসের দুই নির্বাচিত সদস্যাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে বিজেপি নিজেদের কাছে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো।কিন্তু তারা দুই সদস্যকে ধরে রাখতে পারেনি। অনাস্থা ভোটে কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া দুই সদস্যা পুনরায় কংগ্রেসের পক্ষে সমর্থন করেন। এতেই প্রমাণ হয় যে কংগ্রেস এখনো ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে।”