ডেস্ক রিপোর্টার, ৯মে।।
      জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলো দূর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলায় ধৃত সুস্মিতা সরকারের প্রেমিক রাকেশ দত্তের বাবা বাবুল দত্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় বাবুল দত্তের। সোমবার রাতের আধারে তার বাড়িতে পুলিশ সুস্মিতা সরকারের মা ঊমা সরকার ও বোন প্রতিমা সরকারকে নিয়ে গিয়েছিল। এবং এই বাড়িতে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।তাতে রাজি হন নি বাবুল দত্ত। এরপর পুলিশ বাবুল দত্তের হাতে থাকা মোবাইল সেটটি ছিনতাই নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশী নির্যাতনের অপমান সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার সকালে বাবুল দত্ত বিষ খেয়েছিলেন। এরপর বাবুল দত্তকে ভর্তি করানো হয়েছিলো জিবি হাসপাতালে।চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল দত্ত ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। মৃত্যু হওয়া বাবুল দত্তের বাড়িতে যাওয়া সাদা পোশাকের পুলিশ নিজেদের এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ বলে দাবি করেছিলো।জানিয়েছেন মৃত বাবুল দত্তের মেয়ে অঞ্জনা দত্ত।


কিন্তু এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের দাবী, তার থানা থেকে কেউ যায় নি। ঘটনার রাতে সুস্মিতার মা – বোন ছিলো পশ্চিম থানা হেফাজতে।
ধৃত সুস্মিতা সরকারের প্রেমিক রাকেশ দত্তের বাড়ি বোধজংনগর থানার আমতলী পশ্চিম নোয়াবাদী এলাকায়। এই অঞ্চলের মানুষ সজ্জন ভদ্রলোক বাবুল দত্তের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শীঘ্রই পুলিশের নির্যাতন নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহার কাছে। এবং বোধজংনগর থানায় দায়ের করা হবে মামলা। প্রশ্ন হচ্ছে বাবলু দত্তের বাড়িতে কি পশ্চিম থানার পুলিশ গিয়েছিল? তাদের প্রাণ কেন কেঁদে ওঠেছিলো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনের জন্য? নাকি বাবুল দত্তের বাড়িতে গিয়েছিলো কোনো ছদ্মবেশী পুলিশ। বাবলু দত্তের বাড়িতে পুলিশী নাটকের এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল রাজ্যের একমাত্র সংবাদ মাধ্যম ” জনতার মশাল”।


বাবুল দত্তের মৃত্যুর পর তার কন্যা অঞ্জনা দত্ত জানিয়েছেন, “তাদের অভাবের সংসার। বাড়িতে গোয়ালের গরু বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়েছে বাবাকে। কিন্তু বাঁচাতে পারে নি।চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে যান তার বাবা।”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *