ওয়াকফ সংশোধনী আইন ইস্যুতে রাজ্যে বড় রকমের অশান্তির ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে কয়েকটি সংগঠন। এই ভয়ানক তথ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজনীতিকদের দাবী, তাতে অবশ্যই পোয়া বারো রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম ও বিরোধী দল কংগ্রেসের। তারাও ঘোলা জলে মাছ ধরতে ইতিমধ্যে কারেন্ট জাল বিস্তার করেছে রাজনীতির জলাশয়ে।তার প্রথম দৃষ্টান্ত কৈলাসহর ও সোনামুড়ার ঘটনা। তাছাড়া প্রায় প্রতিদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে ধারাবাহিক চলছে মিছিল, মিটিং।
গোয়েন্দার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য বস্তু থাকবে উপস্থিত পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের টার্গেট করেই আক্রমণ শানানো হবে। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এই আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে বহিঃ রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু যুবকদের নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনের নেতারা।
সংখ্যালঘুদের চারটি সর্ব ভারতীয় সংগঠনের নেতাদের মস্তিষ্কের ফসল এই আন্দোলনের ব্লু প্রিন্ট।
গোয়েন্দার রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য বস্তু থাকবে উপস্থিত পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের টার্গেট করেই আক্রমণ শানানো হবে। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এই আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে বহিঃ রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু যুবকদের নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনের নেতারা।
কৈলাসহরে আক্রান্ত পুলিশ কর্মী(ফাইল ছবি)।
গোয়েন্দার সূত্রটির দাবী, সংখ্যালঘুদের চারটি সর্ব ভারতীয় সংগঠনের নেতাদের মস্তিষ্কের ফসল এই আন্দোলনের ব্লু প্রিন্ট। গোটা স্ক্রিপ্ট সাজানো হয়েছে হায়দ্রাবাদে বসে। সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি সারা দেশেই তাদের আন্দোলনের জাল বিস্তার করতে চাইছে।বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। তাদের এই নেট ওয়ার্কের রয়েছে ত্রিপুরাও। তার অঙ্গ হিসাবেই রাজ্যকে অশান্ত করার নীল নকশা তৈরি করেছে সর্বভারতীয় সংখ্যালঘু নেতৃত্ব। তাদের কট্টর এজেন্টরা সক্রিয় রাজ্যেও। সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের জমি মজবুত করতে সর্ব ভারতীয় স্তরেই ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে।
বহিরাগত সংখ্যালঘু যুবকদের দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার ঘটনা নতুন কিছু নয়।
প্রসঙ্গত, বহিরাগত সংখ্যালঘু যুবকদের দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। শেষ বছর কদমতলার ঘটনার সময়ও অসম থেকে প্রচুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন রাজ্যে প্রবেশ করেছিল। মূলত তাদেরকে সামনে রেখেই ঘুটি সাজিয়ে ছিলো স্থানীয়রা। ঘটনার পর এমন তথ্য ফাঁস করেছিল পুলিশ।
কৈলাসহরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত।(ফাইল ছবি)।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন ইস্যু কেন্দ্র করে রাজ্যের দুই বিরোধী শক্তি সিপিআইএম ও কংগ্রেস নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে।
।।বিজ্ঞাপন।।
বিজেপির রাজনীতিকরা বলছেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ইস্যু কেন্দ্র করে রাজ্যের দুই বিরোধী শক্তি সিপিআইএম ও কংগ্রেস নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে। উভয় রাজনৈতিক দলের নেতারা সংখ্যালঘুদের নিয়ে রোজ মিছিল,মিটিং করছে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে।কৈলাশহরের ঘটনায় তা একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুলিশ – জনতার খন্ড যুদ্ধের সময় স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বদরুজ্জামানকে দেখা যায় একজন মহিলা পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে যেতে। তার আগে উত্তর জেলার কদমতলা, ধর্মনগরে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ সভা গুলিতে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাম নেতারা। এখনো চলছে।
কৈলাসহরে পদস্থ মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা বদরুজ্জামানের তর্ক-বিতর্ক।(ফাইল ছবি)
কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠনের কট্টর মনোভাবকে আরো উস্কে দিচ্ছেন রাজনীতিকরা।
গোয়েন্দার তথ্য মোতাবেক, কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠনের কট্টর মনোভাবকে আরো উস্কে দিচ্ছেন রাজনীতিকরা। এই ঘটনা শুধু ত্রিপুরায় নয়।গোটা দেশ ব্যাপী। ইতোমধ্যে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলাতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন ইস্যুতে জ্বলছে ধাউ ধাউ আগুন।
ত্রিপুরাতেও কৈলাসহরের ঘটনার মাধ্যমে সালতে পাকানো শুরু হয়েছে।
ত্রিপুরাতেও কৈলাসহরের ঘটনার মাধ্যমে সালতে পাকানো শুরু হয়েছে। গোয়েন্দার রিপোর্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজ্য পুলিশ।
।।বিজ্ঞাপন।।
তারা শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। তবে কট্টর পন্থীদের এই হিংসাত্মক আন্দোলনকে সমর্থন করছে না মুসলিম সমাজের একাংশ।বরং তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মান্যতা দিচ্ছে প্রকাশ্যে।