“প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খাওয়ার দেওয়া হয় নি। শেষ পর্যন্ত তীব্র প্রতিবাদ করায় প্রশাসন শরণার্থীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে।রবিবার সকালে শরণার্থী শিবিরে ছুটে   গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা  পতি রাম ত্রিপুরা,ভবানন্দ রিয়াং, গোপাল সরকার,দীপ দাস ও সোমেশ দাস। তারা ক্যাম্পে যেতেই ক্ষতি গ্রস্থ লোকজন নেতাদের ছেঁকে ধরেন।শরণার্থীরা নেতাদের কাছে তাদের “অপরাধ” জানতে চান।”


“পুলিশের নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ভেদ করে রাত বিরাতেই জনজাতি সম্প্রদায়ের  যুবকরা হানা দিচ্ছে ৩৩- কেবি, পিছলিঘাট, দূর্গাপুর, হরি পুর, ২০- কার্ড, সাত কার্ড এলাকা গুলিতে।”

ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
              থমথমে পরিবেশ গোটা গণ্ডাছড়া জুড়ে। গ্রামের পর গ্রাম পরিণত হয়েছে শ্মশানে। এখনো আগুনের কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে বিষাদের গন্ধ। মানুষ মাথা গুজেছে শরণার্থী শিবিরে। এই অবস্থায় রবিবার জনতার রোষের মুখে পড়ে ময়দান ছাড়তে হয়েছে ধলাই জেলার জেলা শাসক সাজু ওয়েহেদ এ এবং শাসক দল বিজেপির প্রতিনিধি দলকে।রবিবারে তারা গিয়েছিল শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া সর্বশান্ত হওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে।এবং পরিস্হিতির খোঁজ খবর করতে।
               শুক্রবার রাতের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর শাসক দলের কোন নেতাই গণ্ডাছড়া মুখী হননি। জনজাতি সম্প্রদায়ের উগ্র লোকজনের হামলায় সর্বশান্ত হওয়া বাঙালিরা এখন অবস্থান করছে শরণার্থী শিবিরে। গণ্ডাছড়া স্কুলে তারা অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খাওয়ার দেওয়া হয় নি। শেষ পর্যন্ত তীব্র প্রতিবাদ করায় প্রশাসন শরণার্থীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে।রবিবার সকালে শরণার্থী শিবিরে ছুটে   গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা  পতি রাম ত্রিপুরা,ভবানন্দ রিয়াং, গোপাল সরকার,দীপ দাস ও সোমেশ দাস। তারা ক্যাম্পে যেতেই ক্ষতি গ্রস্থ লোকজন নেতাদের ছেঁকে ধরেন।শরণার্থীরা নেতাদের কাছে তাদের “অপরাধ” জানতে চান।


শরণার্থীরা প্রশ্ন তুলেন, শুক্রবারের রাতের ঘটনার সময় নেতারা কেন তাদের পাশে এসে দাঁড়ান নি?  পূর্বপরিকল্পিতভাবেই জনজাতি সম্প্রদায়ের লোক বাঙালি গ্রামগুলিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শরণার্থীরা। স্কুলে থাকা শরণার্থীদের নানান প্রশ্নের মুখে জেরবার হয়ে যান উপস্থিত বিজেপি নেতৃত্ব। তারা শরণার্থীদের কোন প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারেননি। গণ্ডাছড়াকে জতু গৃহ বানানোর পেছনে উপস্থিত নেতাদেরও মস্তিষ্ক রয়েছে বলে দাবি করেন শরণার্থীরা। শরণার্থীদের বাক্যের রোষে বাকরুদ্ধ হয়ে যান শাসকদল বিজেপির উপস্থিত নেতৃত্ব।

।।বিজ্ঞাপণ।।

নেতারা গন্ডাছড়াতে অবস্থানকালীন শরণার্থী ক্যাম্পে আসেন ধলাই জেলার জেলা শাসক সাজু ওয়াহেদ। জেলা শাসক ও সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েন। শরণার্থী সহ গণ্ডাছড়ার বাঙালি অংশের মানুষ জেলা শাসকের কাছে নিশ্চিত নিরাপত্তা দাবি করেন।কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি জেলাশাসক সাজু ওয়াহেদ জনতাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। বলছেন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া লোকজন।


আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/

এদিন ব্যবসায়ীরাও জেলা শাসককে ছেঁকে ধরেন। শেষ পর্যন্ত জেলা শাসক গণ্ডাছড়া বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করতে বাধ্য হন। জেলা শাসক ব্যবসায়ীদের দোকান পাট খোলার পরামর্শ দেন।

।।বিজ্ঞাপণ।।

ঘটনার দিন সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় গন্ডাছড়া বাজার। ব্যবসায়ীরাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের নিশ্চিত নিরাপত্তা পায়নি স্বাভাবিকভাবেই তারাও বুজিয়ে রেখেছে দোকানের ঝাঁপ। এদিন ব্যবসায়ীরাও জেলা শাসককে ছেঁকে ধরেন। শেষ পর্যন্ত জেলা শাসক গণ্ডাছড়া বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করতে বাধ্য হন।


Pinterest:https://pin.it/31bhi2Ixh

জেলা শাসক ব্যবসায়ীদের দোকান পাট খোলার পরামর্শ দেন।তখন জেলা শাসকের কাছে নিশ্চিত পাল্টা নিরাপত্তার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।  কিন্তু জেলা শাসক  ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হন। জানিয়েছেন গণ্ডাছড়ার ব্যবসায়ীরা।পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকায় জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে জেলা শাসক সহ বিজেপি নেতৃত্ব পিছু হটেন।


অপরাধী যে জাতি গোষ্ঠীর হোক না কেন,তাকে গ্রেফতার করতে হবে। ধলাইয়ের এসপিকে নির্দেশ জেলা শাসকের।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে গোটা গন্ডাছড়াতেই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীতে ছয়লাপ। কিন্তু তার মধ্যেও নতুন করে নানান ষড়যন্ত্রের স্ক্রিপ্ট ভেসে আসছে জন সন্মুখে। স্থানীয় আতঙ্কগ্রস্থ লোকজনের অভিযোগ, এখনো রাতের আঁধারে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন প্রবেশ করছে গ্রামগুলিতে।অপরিচিত জনজাতি যুবকরা বাইকে চক্কর কাটছে বিভিন্ন বাঙালি মহালয়া গুলিতে।
              এই সমস্ত অঞ্চলের বহু বাড়িঘর এখন শ্মশানে পরিণত কিন্তু যেগুলি অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলিকেই টার্গেট করে নূতন ভাবে নাশকতার ছক কষছে উগ্র জনজাতি যুবকরা। শরণার্থী সহ স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। তারপরও পুলিশের নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ভেদ করে রাত বিরাতেই জনজাতি সম্প্রদায়ের  যুবকরা হানা দিচ্ছে ৩৩- কেবি, পিছলিঘাট, দূর্গাপুর, হরি পুর, ২০- কার্ড, সাত কার্ড এলাকা গুলিতে। তাই পুলিশের ঘেরা টোপের মধ্যেও নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছে গণ্ডাছড়ার বাঙালি মহল্লার লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *