“আইজিএমের এক মহিলা সাফাই কর্মীর অভিযোগ, বিশ্বজিৎ সাহা তাদের মহিলা সুপারভাইজার শিপ্রা দাসকে রক্তাক্ত করেছে। এর প্রতিবাদেরই তারা সরব হয়েছেন। বিশ্বজিৎ দাস একজন চরিত্র হীন পুরুষ বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া সাফাই সামগ্রীও বিশ্বজিৎ দাস দিতে চান না নিয়মিত।”

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৩ নভেম্বর।।
              আইজিএম হাসপাতালের সাফাই বিভাগের পুরুষ সুপারভাইজারের হাতে আক্রান্ত মহিলা সুপারভাইজার। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে সরব হয়েছেন মহিলা সাফাই কর্মীরা। তারা পুরুষ সুপারভাইজার বিশ্বজিৎ সাহার অপসারণের দাবি করেছেন।
             আইজিএম হাসপাতালের সাফাই বিভাগের মহিলা সুপারভাইজার শিপ্রা দাসকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুরুষ সুপারভাইজার বিশ্বজিৎ সাহার বিরুদ্ধে। মহিলা সুপারভাইজার শিপ্রা দাসের বক্তব্য, তার শরীরে ধরে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দিয়েছেন পুরুষ সুপারভাইজার বিশ্বজিৎ সাহা। সার্ফ, ফেনল, লাইজল ইত্যাদি সাফাই সামগ্রী প্যাকেট করা কেন্দ্র করেই এই ঝামেলার সূত্রপাত।
         আইজিএমের এক মহিলা সাফাই কর্মীর অভিযোগ, বিশ্বজিৎ সাহা তাদের মহিলা সুপারভাইজার শিপ্রা দাসকে রক্তাক্ত করেছে। এর প্রতিবাদেরই তারা সরব হয়েছেন। বিশ্বজিৎ দাস একজন চরিত্র হীন পুরুষ বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া সাফাই সামগ্রীও বিশ্বজিৎ দাস দিতে চান না নিয়মিত।
      আইজিএমের সাফাই কাজে নিযুক্ত অপর মহিলা কর্মীর অভিযোগ, সাফাই সামগ্রী ফেনল, লাইজলে বিশ্বজিৎ জল মিশিয়ে রেখে দেন। এই সব সামগ্রী তিনি বিক্রি করে দেন বাজারে। বরাবর মহিলাদের সঙ্গে করেন দুর্ব্যবহার। পুরুষ সুপারভাইজার বিশ্বজিৎ সাহার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।
         মহিলাদের বক্তব্য দীর্ঘ দিন ধরেই সাফাই বিভাগের পুরুষ সুপারভাইজার বিশ্বজিৎ সাহা নানান অপকর্ম করে চলছেন। কিন্তু তারা সব মুখ বুঝে সহ্য করছেন পেটের দায়ে। শেষ পর্যন্ত মহিলা সুপারভাইজার শিপ্রা দাসের উপর হাত তোলার পর তাদের ধর্যের বাধ ভেঙে যায়। এই কারণেই বিশ্বজিৎ সাহাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া জন্য তাদের সম্মিলিত প্রতিবাদ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *