প্রতিটি গ্রামে চার – পাঁচ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পাহারার দায়িত্বে থাকেন। এই সংখ্যাটা কোনো ভাবেই নিরাপদ নয়।
এখনো বাঙালি গ্রাম গুলিতে রাতের আধারে নিয়মিত চুরি হচ্ছে।রাবারের সিট থেকে শুরু করে নানান জিনিস পত্র বাঙালি গ্রামগুলি থেকে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাদের অভিযোগের তির স্থানীয় জনজাতি অংশের লোকজনের দিকে। এই ঢিলা-ঢালা নিরাপত্তা অবস্থার মধ্যেই শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজনকে তাদের বাড়িঘরে যাওয়া জন্য চাপ সৃষ্টি করছে প্রশাসন।
ডেস্ক রিপোর্টার, ২০সেপ্টেম্বর।। গণ্ডাছড়ার বাঙালি মহল্লায় লুটপাট, অগ্নি সংযোগের ঘটনার দুই মাস অতিক্রান্ত। এরপরও প্রশাসন তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে নি। ঘটনার দুইমাস পরও বাঙালি গ্রামগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করতে ব্যর্থ মহকুমা প্রশাসন। গ্রামবাসীদের কথায়, আক্রান্ত গ্রামগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মহকুমা প্রশাসন। কিন্তু তারা এখনো তা করতে পারেনি। প্রতিটি গ্রামে চার – পাঁচ জন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পাহারার দায়িত্বে থাকেন। এই সংখ্যাটা কোনো ভাবেই নিরাপদ নয়। কর্মী সংখ্যা কম থাকায় নিরাপত্তা রক্ষীদের পক্ষে গ্রাম গুলি চষে বেড়ানো সম্ভব হয় না। এর সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা যে কোনো সময় হামলা – হুজ্জুতি চালাতে পারে।তখন নিরাপত্তা রক্ষীদের কিছু করার থাকবে না। অথচ এই পরিস্থিতিতে শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা লোকজনকে বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শরণার্থীদের নিত্যদিনের খাওয়া-দাওয়া।
।।বিজ্ঞাপন।।
গণ্ডাছড়ার স্থানীয় ক্লাবগুলি এবার শারদ উৎসবের আয়োজন করবে না। তারা দুর্গাপূজা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
।।গন্ডাছড়ার শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজন।।
ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের বক্তব্য, প্রশাসন ইচ্ছা করলেই নিরাপত্তা বাহিনী থাকার জন্য এলাকায় স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করতে পারতো। কিন্তু কোনো এক রহস্য জনক কারণে প্রশাসন তা করে নি।শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা লোকজনের অভিযোগ, এখনো বাঙালি গ্রাম গুলিতে রাতের আধারে নিয়মিত চুরি হচ্ছে।রাবারের সিট থেকে শুরু করে নানান জিনিস পত্র বাঙালি গ্রামগুলি থেকে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাদের অভিযোগের তির স্থানীয় জনজাতি অংশের লোকজনের দিকে। এই ঢিলা-ঢালা নিরাপত্তা অবস্থার মধ্যেই শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজনকে তাদের বাড়িঘরে যাওয়া জন্য চাপ সৃষ্টি করছে প্রশাসন।
।।বিজ্ঞাপন।।
গণ্ডাছড়ার স্থানীয় ক্লাবগুলি এবার শারদ উৎসবের আয়োজন করবে না। তারা দুর্গাপূজা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেপথ্যে গণ্ডাছড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শত ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যই মূলত স্থানীয় ক্লাবগুলি পূজা বয়কটের ডাক দিয়েছিল। পাশাপাশি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজাতে মহকুমার প্রায় দেড়শ পরিবার থাকবে শরণার্থী ক্যাম্পে। তারা ব্রাত্য থাকবে পূজার আনন্দ থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই মহকুমার অন্যান্য বাঙালি অংশের লোকজন কিভাবে পূজার আনন্দ উপভোগ করবে? এই সব কারণেই বাঙালিরা তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
গণ্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসক চন্দ্র জয় রিয়াং বলেছেন, এখনো নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি হয় নি। তবে শীঘ্রই প্রশাসন নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করবে।
।।মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং।।
প্রশ্ন হলো প্রশাসন পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিরাপত্তা বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করতে পারতো। কিন্তু মহকুমা প্রশাসন সেই পথে হাঁটে নি। এটা প্রশাসনের কোন সুপ্ত রহস্য? প্রশ্ন তুলছেন গণ্ডাছড়ার ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালি অংশের মানুষ।