#Dhalai #Gandachhera #violence#Hindu#Janatar#Mashal।

মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় সনাতনীদের সুরক্ষা দেওয়া।পাশাপাশি শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজনের পাশে দাঁড়ানো। কারণ প্রশাসন শরণার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে।


নব গঠিত সংগঠন সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটি এখন থেকে সনাতনীদের পাশে থেকে কাজ করবে। কারণ গন্ডাছড়াতে আগামী দিনে সনাতনী বাঙালিদের জন্য আরো ভয়াবহ দিন আসছে। সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা বারবার হিস্ হিস্ করছে। বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষকে দেখে নানান ভাবে কটুক্তি করছে।

প্রশাসন এখন পর্যন্ত ১২- জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১অক্টোবর।।
          সীমান্ত মহকুমা গণ্ডাছড়া এখনো থমথমে। যে কোনো সময় ফের সম্প্রদায়িক আগুনে জ্বলে উঠতে পারে গোটা মহকুমা।আতঙ্কে আছে স্থানীয় সনাতনী মানুষ।যদিও প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু শরণার্থীদের কথায়, এলাকায় নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা।তাই তারা বাড়ি ঘরে যাওয়ার সাহস করছে না। এই পরিস্থিতিতে গন্ডাছড়ার সমস্ত ক্লাব এবছর দুর্গা পূজা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আগেই জানিয়েছিল একথা। রবিবারও স্থানীয় ক্লাবের কর্মকর্তারা বৈঠক করে পুনরায় পূজা না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে এদিন তারা জন্ম দিয়েছেন নতুন এক সংগঠন। যার নাম ” সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটি”।

।।আসন্ন দূর্গা পূজা বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় বাঙালিরা।

গন্ডাছড়ার ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, সংগঠন তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় সনাতনীদের সুরক্ষা দেওয়া।পাশাপাশি শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজনের পাশে দাঁড়ানো। কারণ প্রশাসন শরণার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে। এটা কোনো ভাবেই মানা যায় না। টানা ১৯ বছর  মিজোরাম থেকে আগত শরণার্থীরা কাঞ্চনপুরে অবস্থান করেছিলো।তখন কাউর কোনো আপত্তি ছিলো না। আর গণ্ডাছড়ার সনাতনী বাঙালীরা দুইমাসের অধিক সময় ধরে ক্যাম্পে আছে। আর তাতেই প্রশাসন তিতি বিরক্ত। শরণার্থীদের ক্যাম্প ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের খাবার দাবার।

।।ক্যাম্পে আশ্রিত শরণার্থী।।

স্থানীয় ক্লাব কর্তাদের কথায়, তাদের নব গঠিত সংগঠন সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটি এখন থেকে সনাতনীদের পাশে থেকে কাজ করবে। কারণ গন্ডাছড়াতে আগামী দিনে সনাতনী বাঙালিদের জন্য আরো ভয়াবহ দিন আসছে। সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা বারবার হিস্ হিস্ করছে। বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষকে দেখে নানান ভাবে কটুক্তি করছে। অর্থাৎ কোনো একটা ইস্যু কেন্দ্র করে ফের গন্ডাছড়াতে সাম্প্রদায়িক আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে তারা।

।।বিজ্ঞাপন।।

প্রশাসন এখন পর্যন্ত ১২- জুলাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি। তদন্তকারী ক্রাইম ব্রাঞ্চ – র কাছে দুইটি রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার নাম উঠে এসেছে। কিন্তু পুলিশ রহস্য জনক কারণে তাদের গ্রেফতার তো দূরের কথা, থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে নি। এক্ষেত্রে প্রশাসনের দুর্বলতা কোথায়?
            

।।বিজ্ঞাপন।।

আরও খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-even-after-the-murder-of-14-hindu-mothers-the-killers-are-still-missing/

গণ্ডাছড়াতে সনাতনী বাঙালির সংখ্যা ৩০ শতাংশ। এবং জনজাতি ৭০ শতাংশ।

সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটির লোকজন স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, গণ্ডাছড়াতে সনাতনী বাঙালির সংখ্যা ৩০ শতাংশ। এবং জনজাতি ৭০ শতাংশ।  সংখ্য গুরুরা যেকোনো সময় হামলা হুজ্জুতি চালাতে পারে। পুলিশ প্রশাসনও সংখ্যা গুরুদের ভয়ে জরভরত হয়ে আছে। আগামী দিনেও প্রশাসনের চেহারা একই থাকবে। তাই নিজেদের আত্ম রক্ষার জন্য তারা জন্ম দিয়েছে নতুন ব্যানার ” সনাতনী ইউনাইটেড সোসাইটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *