জঙ্গিদের শান্তি চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ।এখন শুধু কাগজে কলমে মৌ স্বাক্ষর হবে। এরপর তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে হাতিয়ার সহ আত্মসমর্পণ করে ফিরে আসবে স্বাভাবিক জীবনে। দিল্লিতে হবে মৌ স্বাক্ষর।বুধবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে।


মঙ্গলবার প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে এনএলএফটি ও এটিটিএফের অস্ত্র বিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বুধবার সকালে অপর একটি পোস্টে প্রদ্যুৎ খোলসা করে দিয়েছেন এনএলএফটি ও এটিটিএফের শান্তি চুক্তি আলোচনার বিষয়টি।

।।বিজ্ঞাপন।।

আমি আনন্দিত যে তারা সকলেই সংস্থাগুলিকে বোঝাতে পেরেছে যে বন্দুকের পথ কখনই সাংবিধানিক সমাধান আনতে পারে না।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৪সেপ্টেম্বর।।
                    অবশেষে রাজ্যে অবসান হতে চলছে জঙ্গি যুগের। রাজ্যের দুই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি ও এটিটিএফ শান্তি চুক্তির আলোচনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে। বুধবার অস্ত্র বিরতি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করবে রাজ্যের দুই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র বিরতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিপ্রামথা ফাউন্ডার প্রদ্যুৎ দেববর্মণ।

খবর অনুযায়ী, জঙ্গিদের শান্তি চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ।এখন শুধু কাগজে কলমে মৌ স্বাক্ষর হবে। এরপর তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে হাতিয়ার সহ আত্মসমর্পণ করে ফিরে আসবে স্বাভাবিক জীবনে। দিল্লিতে হবে মৌ স্বাক্ষর।বুধবার দুপুর  ২.৩০ মিনিটে।মৌ স্বাক্ষর পর্বে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এবং এনএলএফটি ও এটিটিএফের জঙ্গি নেতারা।


মঙ্গলবার প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে এনএলএফটি ও এটিটিএফের অস্ত্র বিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বুধবার সকালে অপর একটি পোস্টে প্রদ্যুৎ খোলসা করে দিয়েছেন এনএলএফটি ও এটিটিএফের শান্তি চুক্তি আলোচনার বিষয়টি।

প্রদ্যুৎ কিশোরের এফবি পোষ্ট

প্রদ্যুৎ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, “কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় সব সময়ই ফল দেয়!  অহিংসা ও বিদ্রোহ মুক্ত ত্রিপুরার যুগ দিগন্তে!  আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। যারা ধৈর্যের সাথে এনএলএফটি এবং এটিটিএফের সাথে একটি সম্মানজনক শান্তি চুক্তির আলোচনা করেছেন। .আরও অনেকে আছেন যারা গত দেড় বছর ধরে পর্দার আড়ালে নীরবে কাজ করেছেন । আমি আনন্দিত যে তারা সকলেই সংস্থাগুলিকে বোঝাতে পেরেছে যে বন্দুকের পথ কখনই সাংবিধানিক সমাধান আনতে পারে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে হবে এবং তার সমাধান করতে হবে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার পুরো দলকেও ধন্যবাদ জানাই বিশ্বাস রাখার জন্য ।”

।।বিজ্ঞাপন।।

প্রসঙ্গত “জনতার মশাল” ওয়েব পোর্টাল সর্ব প্রথম রাজ্যের জঙ্গিদের অস্ত্র বিরতি ঘোষণার সম্ভাবনার খবর প্রকাশ করেছিলো। প্রথম দিকে খবর ছিলো ২৩- র শেষ লগ্নে আত্মসমর্পণ করতে পারে রাজ্যের জঙ্গিরা। পরবর্তী সময় অবশ্যই আলোচনা কিছুটা থিতিয়ে গিয়েছিল। এরপর ফের শুরু হয় আলোচনা। এখন চূড়ান্ত পর্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *