“সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভাণ্ড স্থানান্তর নিয়ে প্রদেশ বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। বড়দোয়ালী না বনমালী পুর? এখন পর্যন্ত খবর “ট্যাগ অফ ওয়ারে” এগিয়ে রয়েছে বড়দোয়ালী।ইতিমধ্যে নাকি এই কেন্দ্রীয় সংস্থার দিল্লি অফিসে বড়দোয়ালি থেকে জমা পড়েছে সুপারিশ। বড়দোয়ালির দণ্ড মুণ্ডের কর্তারা অনেক বেশি এডভ্যান্স। তারা সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভাণ্ডর জন্য জমি দেখে নিয়েছে। ড্রপগেট এলাকায় হবে সিপিডব্লিউডি – র নতুন অফিস।”


“শহরের নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মানচিত্রে  বড়দোয়ালীর অতীত ইতিহাস মোটেও ভাল নয়। ১৯৯৩ থেকে ২০০৮- র মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শহরের নিগোসিয়েশনকারীদের “হার্ড থ্রব” ছিলো বড়দোয়ালি। ৯৩- সালে বামেরা ক্ষমতায় আসার পর দশরথ দেব স্টেডিয়ামের কাজের কাড়াকাড়ি নিয়ে প্রথম খুন হন তৎকালীন সময়ে বাম ছাত্র নেতা সেলিম মিয়া। এর একবছরের মধ্যেই খুন হয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশ নেতা স্বপন দাস।”

।।বিজ্ঞাপণ।।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ জুলাই।।
         আগরতলা পুর নিগম থেকে নেতাজী চৌমুহনীর পূর্ত দপ্তর। বটতলা এম আই অফিস থেকে মিলন সংঘের কাস্টম অফিস। বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্র বরাবর নিগোসিয়েশন “হাব”। বাম জামানা থেকে রাম জামানা। দিন দিন স্ফীত হয়েছে নিগোসিয়েশন কারবার। এখনো চলছে স্বাভাবিক ছন্দে। বাম জামানায় বড়দোয়ালী হঠাৎ বাজার সংলগ্ন এলাকায় ছিলো পূর্ত দপ্তরের একটি অফিস।এটাও ছিলো নিগোসিয়েশন কারবারের “বধ্যভূমি”। বড়দোয়ালী নিগোসিয়েশন হাবে এখন নতুন ভাবে সংযোজন হতে চলছে ঊষা বাজারের সিপিডব্লিউডি। এই খবর ঘুরপাক খাচ্ছে শহরের নিগোসিয়েশন মার্কেটে। এই খবরের ভিত্তিতে বড়দোয়ালী নিগোসিয়েশন মার্কেটের “সূচক” এখন ঊর্ধ্বমুখী। তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবেই নাকি প্রশাসন গুড়িয়ে দিয়েছে ঊষাবাজারের ৭০ বছরের পুরনো ক্লাব ভারত রত্ন সংঘের পাকা বাড়ি।যদিও প্রশাসনের দাবি, খাস জমিতে ভারত রত্ন সংঘ তাদের ইমারত গড়ে তুলেছিলো।রাজনীতিকরা বলছেন, ভারত রত্ন সংঘের বিল্ডিং বাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছে দুর্নীতি দমনে  তিনি কতটা কঠোর হতে পারেন।

Table of Contents


সম্প্রতি ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি – র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের দখলদারী কেন্দ্র করে খুন হয়েছেন ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি। তার মৃত্যুর পর ঊষা বাজার থেকে সিপিডব্লিউডি অফিস সরিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপর শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য সিপিডব্লিউডি অফিস অর্থাৎ মধুর ভান্ড সরিয়ে নিলেই সব মুস্কিল আসান হয়ে যাবে। ঊষা বাজারে কমে যাবে রক্তপাত। বোতল বন্দী হবে তথাকথিত মাফিয়ারা। আর ভারত রত্ন সংঘের ক্লাব ঘর গুড়িয়ে দিলে উষা বাজারে নিঃস্ব হবে মাফিয়ারাজ ও নিগোসিয়েশন কারবার।
বেশ ভালো। ঊষা বাজার শান্ত হবে। তাহলে কোথায় আসবে সিপিডব্লিউডি অফিস? “মধুর ভান্ড”  বলে কথা। যে বিধানসভা কেন্দ্রে যাবে সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভাণ্ড,তারাই যে হয়ে উঠবে ধন কুবের মহামুনিব। এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে?

।।ভারতরত্ন সংঘের ধ্বংসাবশেষ।।

রাজনীতিকরা বলছেন, ভারত রত্ন সংঘের বিল্ডিং বাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছে দুর্নীতি দমনে  তিনি কতটা কঠোর হতে পারেন।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-right-left-ram-is-the-step-son-of-all-political-parties-bengali-that-is-why-this-nation-is-being-sacrificed-in-politics-for-decades-politics-cpim-bjp-tripura-news

খবর অনুযায়ী, সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভাণ্ড স্থানান্তর নিয়ে প্রদেশ বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। বড়দোয়ালী না বনমালী পুর? এখন পর্যন্ত খবর “ট্যাগ অফ ওয়ারে” এগিয়ে রয়েছে বড়দোয়ালী।ইতিমধ্যে নাকি এই কেন্দ্রীয় সংস্থার দিল্লি অফিসে বড়দোয়ালি থেকে জমা পড়েছে সুপারিশ। বড়দোয়ালির দণ্ড মুণ্ডের কর্তারা অনেক বেশি এডভ্যান্স। তারা সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভাণ্ডর জন্য জমি দেখে নিয়েছে। ড্রপগেট এলাকায় হবে সিপিডব্লিউডি – র নতুন অফিস। ঊষা বাজারকে শান্ত করতে বড়দোয়ালির ড্রপগেটে মাথা তুলবে সিপিডব্লিউডি। এর পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে? বড়দোয়ালির হালের নিগোসিয়েশন করবারীদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে। ঊষা বাজারের মতোই ঝরবে রক্ত।


শহরের নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মানচিত্রে  বড়দোয়ালীর অতীত ইতিহাস মোটেও ভাল নয়। ১৯৯৩ থেকে ২০০৮- র মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শহরের নিগোসিয়েশনকারীদের “হার্ড থ্রব” ছিলো বড়দোয়ালি। ৯৩- সালে বামেরা ক্ষমতায় আসার পর দশরথ দেব স্টেডিয়ামের কাজের কাড়াকাড়ি নিয়ে প্রথম খুন হন তৎকালীন সময়ে বাম ছাত্র নেতা সেলিম মিয়া। প্রকাশ্যে দিন দুপুরে বড়দোয়ালি স্কুলের পেছনের মূল সড়কে তাকে হত্যা করা হয়।প্রথমে চলন্ত বাইকে সেলিম মিয়ার পায়ে গুলি করা হয়। পরে মূল রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খান খান করা হয় সেলিমের দেহ।


বড়দোয়ালির নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করেই মাফিয়া উচ্ছেদ শুরু করেছিলো বামেরা।নেতাজী চৌমুহনী থেকে টিংকু লোধকে ত্রিপুরা ছাড়া করা হয়। টিংকু ছিলো নেতাজী চৌমুহনি পূর্ত দপ্তরের নিগোসিয়েশন কারবারের মাষ্টার মাইন্ড।ভট্ট পুকুর বাপুজি স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল  সমাজদ্রোহী শ্যামল দাসকে। আগরতলা পুর নিগম অফিস  বটতলা সুপার মার্কেটে থাকাকালীন সময়ে গোটা অঞ্চলে অস্ত্রের আস্ফালন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। পুর নিগমের নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করেই দূর্গা চৌমুহনিতে খুন হয়েছিল দিলীপ ঘোষ। তৎকালীন সময়ে গোটা বড়দোয়ালি অঞ্চল ছিলো আতঙ্কে ভরা।


বড়দোয়ালির নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করেই মাফিয়া উচ্ছেদ শুরু করেছিলো বামেরা।নেতাজী চৌমুহনী থেকে টিংকু লোধকে ত্রিপুরা ছাড়া করা হয়। টিংকু ছিলো নেতাজী চৌমুহনি পূর্ত দপ্তরের নিগোসিয়েশন কারবারের মাষ্টার মাইন্ড।

আরো খবর পড়ুন

P – interest—https://pin.it/31bhi2Ixh

২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর শুধু হাত পরিবর্তন হয়েছে। আগরতলা পুর নিগম থেকে শুরু করে নেতাজী চৌমুহনি পূর্ত দপ্তর। এম আই অফিস থেকে কাস্টম অফিসে চলছে নিগোসিয়েশন কারবার। বর্তমানে এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বন্ধ নেই নিগোসিয়েশন বাণিজ্য।এখন নতুন ভাবে সিপিডব্লিউডি – অন্তর্ভুক্ত হলে বড়দোয়ালিতে আরো জাকিয়ে বসবে নিগোসিয়েশন কারবার। পোয়া বারো হবে এক শ্রেনীর ধান্দাবাজ লোকজনের।বিনিময়ে ঝরবে সাধারণ যুবকদের রক্ত। ক্ষণে ক্ষণেই গ্যাং ওয়ারে কেঁপে উঠবে বড়দোয়ালির উড়ালপুল। আতঙ্কের প্রহর গুনবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ।

।ভারত রত্ন সংঘকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার কুশীলবরা।

রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার কাছে কি আছে এই সংক্রান্ত খবর? থাকবেই বা না কেন? নিয়ম অনুযায়ী,গোয়েন্দা আধিকারিক তো নিয়মিতই নানান খবর ব্রিফ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।নাকি এই সংক্রান্ত কোনো খবর নেই রাজ্যের তথাকথিত নেট ওয়ার্ক সমৃদ্ধ পুলিশ – গোয়েন্দার কাছে। বড়দোয়ালীতে সিপিডব্লিউডি – র মধুর ভান্ড আসলে আক্ষরিক অর্থেই পর্দার আড়ালে কারা হবেন লাভার্থী?  আপাতত এই প্রশ্ন তোলা থাক কুলুঙ্গীতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কি মিস করেছেন