“শুক্রবার রাত ভর জনজাতি অংশের উত্তেজিত লোকজন গণ্ডাছড়ার ৩০-কার্ড , ৩৩-কেবি , পিছলিঘাট, ৭-কার্ড,২০ কার্ড, দূর্গাপুর, হরিপুর, কলেজ চৌমুহনি, নারায়ন পুরের একটা অংশে নির্বিচারে হামলা চালায়।”
পুলিশ কোথায়? এখনো কেন নিলো না স্বত: প্রণোদিত মামলা?
জতুগৃহের বীভৎসতার নিদর্শনের ঠিকুজি
____________________________________
# ৭০থেকে ৮০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
#হিংসার আগুনে ঝলসে যায় ১১টি গরু
# একটি গো – মাতাকে প্রকাশ্যে করে জবাই
#আগুনে পুড়ে যায় ৮টি ছাগল।
# হাঁস – মোরগও হিংসার আগুনে ভস্ম হয়ে যায়।
# ২০টি মোটর বাইক ও ১২টি গাড়ি আগুনের গ্রাসে।
# স্বর্ণালংকার,টিভি,ফ্রিজ, খাট, টাকা – পয়সা ছিনতাই।
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলছে গণ্ডাছড়া। প্রচুর মানুষ গৃহহীন। তারা নিঃস্ব। নেই মাথা গুজার ঠাঁই। সর্বত্র চলছে হাহাকার।
শুক্রবার রাতের ঘটনার ৩৬ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও বাঙালি বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ,লুটপাট নিয়ে গণ্ডাছড়া থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয় নি। বাঙালি মহল্লায় হামলাকারীদের গ্রেফতার তো দূরের কথা। তাই পুলিশি ব্যর্থতায় হামলাকারীরা আজও মেতে আছে বহ্ন্যুৎসবে।
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরাও দিশা হীন। তাদের চোখে মুখে বিষাদের ছায়া। গ্রাস করে আতঙ্ক। তাদের মানসিক অবস্থা এখন তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে মামলা দায়ের করার মত মানসিকতা নেই তাদের। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোথায়? বাঙালি গ্রামবাসীদের একের পর এক বাড়িঘরে হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্বত: প্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার দুঃসাহস দেখাতে পারে নি।গোটা গণ্ডাছড়া থানা পুলিশের এই ভূমিকা খুবই রহস্য জনক বলে মনে করছেন সাধারণ নাগরিকরা।
শুক্রবার রাত ভর জনজাতি অংশের উত্তেজিত লোকজন গণ্ডাছড়ার ৩০-কার্ড , ৩৩-কেবি , পিছলিঘাট, ৭-কার্ড,২০ কার্ড দূর্গাপুর, হরিপুর, কলেজ চৌমুহনি, নারায়ন পুরের একটা অংশে নির্বিচারে হামলা চালায়।তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারী জনজাতি অংশের দুষ্কৃতীরা গোটা অঞ্চলের ৭০ থেকে ৮০টি বাড়িঘরে সীমাহীন “হিংসা যজ্ঞ” চালিয়ে ছিলো। হিংসার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় একের পর এক বাড়ি ঘর।চলে ছিনতাই , লুঠতরাজ। সাম্প্রদায়িক হিংসার ছড়ানোর কুশিলবদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গ্রামবাসীদের গবাদি পশুগুলিও।
এই খবর পড়ুন
https://janatarmashal.com/tripura-news-new-game-in-hill/
স্থানীয়দের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা অঞ্চলে হিংসার আগুনে ঝলসে যায় ১১টি গরু। একটি গরুকে হামলাকারী জল্লাদরা কেটে খান খান করে দেয়। আগুনে পুড়ে যায় ৮টি ছাগল। তাছাড়া প্রচুর হাঁস – মোরগও হিংসার আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়। ২০টি মোটর বাইক ও ১২টি গাড়িও সাম্প্রদায়িক আগুনের গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়। এ যেনো,বীভৎসতার এক চূড়ান্ত নিদর্শন।
“পরমেশ্বর রিয়াংয়ের মৃত্যু দুঃখ জনক। পুলিশ তার খুনিদের গ্রেফতার করেছে।তারা আছে জেল অন্দরে।কিন্তু বাঙালি অংশের বাড়ি ঘরে হামলা, ছিনতাই, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও তো জঘন্য অপরাধ।”
অভিশপ্ত শুক্রবারের রাতের আলো কেটে , শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই বিষাদে গ্রাস করে গোটা গন্ডাছড়াকে।পুলিশে পুলিশে ছিলো ছয়লাপ ।নিশ্চিত নিরাপত্তা চেয়ে সহায় সম্বলহীন গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করে। তারা ছুটে যায় থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, এতো বড় ঘটনার পরও টনক নড়ে নি পুলিশের।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা রুজু করা হয়নি। পুলিশও বসে আছে হাত গুটিয়ে। ইচ্ছে করলেই পুলিশ স্বত :প্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করতে পারে। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি গন্ডাছড়া থানার পুলিশ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন মামলার রুজু করেনি।
গ্রামবাসীদের বাড়িঘরের নাশকতা চালানো দুষ্কৃতিদেরও নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করতে পারে নি পুলিশ। বা করে নি। সাধারণত এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ সহ উদ্যোগে মামলা রুজু করে থাকে। গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের।কিন্তু গণ্ডাছড়ার ঘটনার ক্ষেত্রে সেই পথে হাঁটেনি তারা পুলিশ। থানা পুলিশের এই ভূমিকা ক্ষতি গ্রস্থ মানুষের কাছে বাড়িয়ে দেয় সন্দেহের মাত্রা।
আরো খবর পড়ুন
Pinterest:https://pin.it/31bhi2Ixh
নাগরিক সমাজের কথায়, পরমেশ্বর রিয়াংয়ের মৃত্যু দুঃখ জনক। পুলিশ তার খুনিদের গ্রেফতার করেছে।তারা আছে জেল অন্দরে।কিন্তু বাঙালি অংশের বাড়ি ঘরে হামলা, ছিনতাই, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও তো জঘন্য অপরাধ। তাহলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ কেন গ্রেফতার করছে না? কাজের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দন্ডমুন্ডের কর্তারা কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?