ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
        “আমার ভোট, আমার অধিকার” । এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৩ র ভোট যুদ্ধের আগে রাজধানীতে শক্তির মহড়া দেয় বাম কংগ্রেস জোটের  সেকুলার ডেমোক্রেটিক ফোর্স। এক সঙ্গে হাতে হাত ধরে রাস্তায় হাঁটলেন মানিক – সমীর, জিতেন – সুদীপরা। তারা যৌথ মঞ্চে এসে বার্তা দিলেন বিজেপিকে। এবং জনমনে পেলো ব্যাপক সাড়া।
এদিন সেকুলার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের মূল জমায়েত হয় রাজধানীর রবীন্দ্র ভবন চত্বরে।সেখান থেকে আমার ভোট,আমার অধিকার এই শ্লোগান সামনে রেখে বিশাল মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে যায় নির্বাচন কমিশনে।সেখানে তারা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন ।নেতৃত্ব জানতে চান, নির্বাচনে মানুষকে নিশ্চিত ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দিতে।


সেকুলার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন প্রাক্তন সমীর রঞ্জন বর্মন, বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার, কংগ্রেস পর্যবেক্ষক অজয় কুমার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ সাহা,পবিত্র কর,রতন দাস সহ উভয় শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।ছিলো উভয় দলের কর্মী -সমর্থক। মিছিলে হাঁটেন মানবধিকার কর্মী তথা আইন জীবি পুরুষোত্তম রায় বর্মন সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।ভোটের অধিকার পাওয়ার আওয়াজ তুলে সাধারণ মানুষও ব্যাপক হারে সামিল হয়েছে মিছিলে।
মিছিলে উপস্থিত বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার বলেন, মানুষ যেন নিশ্চিত ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে,তার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এদিন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।


মানিক সরকার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সোচ্চার হোন।তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। মজলিশপুরে পুলিশের সামনেই আক্রান্ত হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কমলপুরে খুন হয়েছে তিপ্রামথার সমর্থক।বিভিন্ন জায়গাতে সিপিআইএমের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর মানিকের সুরেই বলেন, বিজেপির হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতেই তারা নেমেছে রাজপথে।


জিতেন্দ্র চৌধুরী শাসক দল বিজেপিকে এক হাত নেন। তিনি বলেন,বিজেপি ভোট লুটেরা,গনতন্ত্রের হন্তারক।
সেকুলার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের অন্যতম নেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, এদিনের কর্মসূচি অরাজনৈতিক।মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য তারা এসেছেন নির্বাচন কমিশনে।
     সুদীপ রায় বর্মনের কথায়, নির্বাচন কমিশন তাদেরকে আশ্বস্থ করেছে,মানুষ নিশ্চিত ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। দুষ্কৃতীরা ঝামেলা করলে, তার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। সুদীপ জানিয়েছেন, মজলিশপুরের ঘটনা নিয়ে পৃথক ভাবে তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন।.


মানিক,সুদীপ,জিতেন, বীরজিত বুঝিয়েছেন তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে সাধারণ মানুষের হয়ে ডেপুটেশন দিয়ে আশ্বস্থ হয়েছে। অবাধ ও নিরপেক্ষ সুষ্ঠ ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশন তাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছে।অর্থাৎ মানুষ নিশ্চিত ভাবে ২৩ র ভোট যুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারবে তাদের ভোটাধিকার।
     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *