ডেস্ক রিপোর্টার,২২ জানুয়ারি।।
         শহরের রামনগর কেন্দ্রের বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত।তিনি রাজ্য রাজনীতির মোগাম্বু।এক সময় তিনি ছিলেন অবাম রাজনীতির টাইকুন। কিন্তু এখন সব অতীত।এলাকায় হ্রাস পেয়েছে তার জন প্রিয়তা।
তারপরও তিনি ২৩র ভোটে চাইছেন টিকিট।
         রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের ময়দানে সুরজিৎ দত্ত ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী।১৯৮৮ থেকে ২০০৮  পর্যন্ত রামনগর থেকে টানা জয়ী হয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঘটে ছন্দ পতন।তিনি পরাজিত হয়েছিলেন সিপিআইএম নেতা রতন দাসের কাছে।তবে পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ১৮ র নির্বাচনে তিনি ফের দখল করেছিলেন রাম নগর।তখন তিনি ছিলেন গেরুয়া শিবিরের সৈনিক।
        ২৩- র ভোটের দৌঁড় গোড়ায়ও সুরজিৎ দত্ত স্বপ্ন দেখছেন ফের বিজেপির টিকিটে তিনি লড়াই করবেন নির্বাচনে। তিনি ভাবলেও দল চিন্তা করছে অন্য কিছু।কারণ বয়সের ভারে নুয়ে যাওয়া সুরাজিতকে নিয়ে বিজেপি বেশি সময় খরচ করছে না। এমন খবর গেরুয়া বাড়ির অন্দর মহলের।
        ১৮ থেকে ২৩ এই সময়ের মধ্যে রাম নগরে সুরজিৎ বিজেপির ব্র্যান্ডকে সামনে রেখে শুধু তোলা বাজি করেছেন।অভিযোগ খোদ বিজেপি কর্মীদের।
     বর্ডার গোল চক্কর থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন।
জমি বাণিজ্য।আন্তর্জাতিক আমদানী – রপ্তানি বাণিজ্যে দখলদারি।বাংলাদেশ থেকে আসা মাছের চালান হাইজ্যাক করা।দূর্গা চৌমুহনী এক মিষ্টির দোকানে হামলা। বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে টু-পাইস ভক্ষণ।
সবেতেই বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের নাম উঠে আসছে। সীমাহীন দুর্নীতির জন্য মানুষ এখন সুরজিৎ ওরফে সুনুকে পছন্দ করছে না। তারমধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো অবস্থা তৈরি করেছে সুরজিত দত্তের কর্পোরেটর ভাইপো অভিষেক দত্ত। গোটা রাম নগরে কাকা ভাতিজা বিজেপিকে নিলাম করে দিয়েছে বলে দাবি বিজেপির কার্যকর্তাদের। কাকা সুরজিৎ টিকিট না পেলে,তিনি ভাই-পো অভিষেকের জন্য জোর সাওয়াল করছেন।অভিষেকের বিরুদ্ধে এখনো মামলা ঝুলছে পশ্চিম থানায়। গোটা অঞ্চলে  তাদের জনপ্রিয়তা একেবারেই তলানিতে।এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে রাম নগরের মানুষ।
      রামনগর রাজনীতিতে একটা প্রবাদ আছে, জোট জামানায় সুরজিৎ দত্ত প্রচুর চাকরি দিয়েছেন। তাই রামনগর ব্যক্তি সুরাজিতের জন্য নিরাপদ।কিন্তু এটা একটা সময়ে ছিলো।এখন নেই।কারণ সুরজিৎ রামনগরের যেসব অঞ্চলের মানুষকে চাকরি দিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি এখন চলে গেছে বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে স্বাভাবিক ভাবেই সুনুর আগের শক্তি নেই । আর এই কারণেই ১৩র নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এবং ১৮তে জয়ী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও প্রবল বাম বিরোধী হাওয়ার কারণে। এবার অবশ্যই চিড়া ভিজবে না। বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
         বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ কাকা,ভাইপো রাম নগরের পাপাপাশি তারা বিষয়ে তুলছে নিস্কুলুক মুখ্যমন্ত্রীকেও।কেননা রাম নগরের বড়দোয়ালী বিধানসভায় মাথা উচু করে দাড়ানো অ্যাপার্টমেন্ট গুলি থেকে নিয়মিত টু পাইস কামাচ্ছেন সুরজিৎ গোষ্ঠী।স্বাভাবিক ভাবে বদনাম হচ্ছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। রাজনীতিকদের কথায়,সুরজিৎ দত্ত ও তার ভাইপো  ভাবছেন পুর ভোটের মতো তারা মাসল পাওয়ার দেখবেন।কিন্তু তারা ভুলে গেছেন এটা পুর ভোট নয়,এটা বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে হবে ভোট। রাম নগর বিধানসভার অধিকাংশ অধিকাংশ এলাকায় এখন বস্তি।আগের মতো আভিজাত্য অঞ্চল নয়।এই অংশটি চলে গেছে বড়দোয়ালী বিধানসভায়। সব মিলিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাকফুটে রাজ্য রাজনীতির মোগাম্বু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *