ডেস্ক রিপোর্টার,২৫এপ্রিল।।
সামনেই রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপভোট।তার মধ্যে আগরতলা ও টাউন বড়দোয়ালি দুইটি কেন্দ্র কংগ্রেসের জন্যও সম্মানের লড়াই হবে। দুই কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ-আশীষের রাজনৈতিক টিআরপি নির্ভর করবে উপ ভোটের বাজারে। ঠিক এই মুহূর্তে শাসক দল বিজেপি’র আন্দোলন করার মতো গরম ইস্যু হাতে পেয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। এবং আন্দোলনের মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করার প্রয়াস শুরু করেছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ইস্যুতে মাঠে নেমেছিল। কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা নেহাত খারাপ ছিল না, বর্তমান শক্তি অনুযায়ী। বলছেন রাজনীতিকরা। জনজাতিদের নিয়েও শক্তির মহড়া দিয়েছিলো কংগ্রেস। তা অবশ্যই তেমন দাগ কাটেনি।তবে পাহাড়ে কংগ্রেসের শক্তির তুলনায় তা ছিলো চলন সই। তাছাড়া জেলা গুলিতে কংগ্রেস বেশ কিছু সভা করেছিলো। সাড়া খারাপ ছিলো না। তবে এই শক্তি যে যথেষ্ট নয়।

এবার প্রদেশ কংগ্রেস মাঠে নামছে গুজরাটের দলিত নেতা তথা বিধায়ক জিগনেশ মেভানি’র গ্রেফতার ইস্যুতে। সোমবার জিগনেশ ইস্যুতে রাজধানীতে বিক্ষুব্ধ সমাবেশ করবে কংগ্রেস। ইতিমধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মূলত কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি হবে আগরতলা ও টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে। তবে অন্যান্য জায়গাতেও হবে একই কর্মসূচি। তবে চার কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য এই কর্মসূচি গুলি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমে কংগ্রেস মানুষের মনে ফের জায়গা করার চেষ্টা করছে। তবে উপভোটের ফলাফলে কংগ্রেসের এই আন্দোলনের প্রভাব পড়বে কিনা তা বলবে সময়েই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে অসমের এক ব্যক্তি থানায় মামলা দায়ের করেন।অসম পুলিশের দায়ের করা এই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ জিগনেশকে গ্রেফতার করেছে। এর প্রতিবাদেই গোটা দেশে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। এর অঙ্গ হিসাবেই উপ ভোটের প্রাক লগ্নে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *