ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ এপ্রিল।।
“রাজন্য আমলের সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলার খেলায় মেতে ছিল বামপন্থীরা।”—- বললেন রাজ্য বিজেপি’র সহসভাপতি অমিত রক্ষিত। খোয়াইয়ে লাঠা বাড়ির নাম পরিবর্তন ইস্যুতে বামেদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন অমিত রক্ষিত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন।শাসক দল বিজেপি’র সহসভাপতি অমিত রক্ষিতের বক্তব্য, খোয়াইয়ে লাঠা বাড়ির নাম অতীতে ছিলো গগনচৌধুরী পাড়া।
গগন চৌধুরীর বড়ো ছেলে ছিলেন বসন্ত সর্দার। তিনি মহারাজা বীর বিক্রমের রাজত্বে রাজার প্রতিনিধি হিসেবে রাজার দেওয়া ন্যায় দণ্ড নিয়ে স্থানীয় বিচার ও শাসন ব্যবস্থা তদারকি করতেন। রাজার প্রতিনিধি হিসেবে বসন্ত সর্দারই ছিলেন শেষ কথা।
বিজেপি’র খোয়াই জেলার প্রভারী অমিত রক্ষিতের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে রাজতন্ত্রের সমস্ত ‘চিহ্ন’ নিশ্চিহ্ন করতে বামেরা উঠে পড়ে লেগেছিলো। পরিকল্পিত ভাবে বামেরা রাজন্য ব্যবস্থার স্মৃতি মুছে দিতে গগন চৌধুরী পাড়ার নাম বদলে দেয়। এবং নতুন নামকরণ করে “লাঠা বাড়ি”। গগন চৌধুরী-বসন্ত সর্দারদের গোটা পরিবারকে ঠেলে দিয়েছেন নাম-পরিচয়হীনতার দিকে।

হালের লাঠা বাড়ি ও অতীতের গগনচৌধুরী পাড়াতে পা রাখলেই খোঁজে পাওয়া যায় রাজন্য আমলের অনেক স্মৃতি। আজও বসন্ত সর্দারের পরিবারের লোকজন রাজন্য স্মৃতি আগলে রেখেছেন বুকে । সযত্নেই গগন চৌধুরীর চতুর্থ প্রজন্মের সদস্যরা রেখে দিয়েছে রাজন্য আমলের সেই “ন্যায় দণ্ড”। এ
“ন্যায় দণ্ড” হাতে নিয়েই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিচার ব্যবস্থা ও শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতেন বসন্ত সর্দার। অমিত রক্ষিত নিজেও গিয়েছিলেন বসন্ত সর্দারের চতুর্থ প্রজন্মের লোকজনের কাছে।তাও আবার গাড়িয়া উৎসবে। তিনি নিজের চোখেই পরখ করেন রাজন্য আমলে বসন্ত সর্দারের ব্যবহৃত সেই
“ন্যায় দণ্ড”। বসন্ত সর্দারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে “ন্যায় দণ্ড” হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *