ডেস্ক রিপোর্টার,৩১জানুয়ারি।।
“WANSEA GET OUT, RED ZONE”- প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতের আধারে তেলিয়ামুড়ার প্রান্তিক অঞ্চল কলই পাড়া সড়কে এই কয়েকটি শব্দ লিখে কুচক্রীরা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। কে বা কারা প্রান্তিক সড়কে সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক শব্দগুলি লিখে ছিলো? ঘটনার ৭২ ঘন্টা পরও তা নিয়ে উদাসীন পুলিশ। খোয়াই জেলার তাবড় তাবড় পুলিশ আধিকারিকরা হাতড়াচ্ছে গভীর অন্ধকারে। কুশীলবদের এখনও সনাক্ত করতে পারে নি। তবে পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সাংবাদিকদের ভয় – ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করেছে।দেখাচ্ছে আইনের জুজু! গোটা ঘটনার কান্ডারী এসডিপিও সুধাম্বিকা আর(আইপিএস)। পর্দার আড়াল থেকে কাঠি নাড়ছেন খোদ খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার রমেশ যাদব!
তেলিয়ামুড়ার কলই পাড়াতে রাতের আধারে দুষ্কৃতীরা ১৪টি ঘর ভাঙচুর করেছে।রাস্তার মধ্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক শব্দ লেখা হয়েছে। কারা করেছে ? তা নিয়ে পুলিশের কোনো হেলদোল নেই। কিন্তু এই সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ কিভাবে মিডিয়ার কাছে পৌঁছেছে এবং কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল করেছে তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে খোয়াই জেলার “বীরপুঙ্গব” এসপি রমেশ যাদবের অধস্তন পুলিশ আধিকারিকরা। ছি: ছি:।
অভিযোগ, এসপি রমেশ যাদবের নির্দেশে তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও সুধাম্বিকা আর রবিবার সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিকদের তলব করেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের “সাংবাদিকতার” পাঠ সেখান। প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নীতি নির্দেশিকার বাণী শুনান। এবং প্রকারান্তে হুমকিও দেন। এসডিপিও সুধাম্বিকার চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি আইনের জুজু দেখিয়ে বলেন, ” যে সমস্ত মিডিয়া কলই পাড়ার ছবি ভাইরাল করেছে। এবং খবর প্রকাশ করেছে,তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছা করলে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।” সাংবাদিকদের কাছে এসডিপিও জানতে চান, স্থানীয় কোন কোন সাংবাদিক রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর পাঠিয়েছেন। খোয়াই জেলার এসপি রমেশ যাদব নাকি এসডিপিওকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই ঘটনা ভাইরাল করা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠান গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে এসডিপিও “সাহেবা” তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের দুর্বলতার কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। তেলিয়ামুড়া মহকুমাতে পুলিশ – গোয়েন্দা রয়েছে। তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতে কলই পাড়ার মতো প্রান্তিক অঞ্চলে পুলিশ কেন ছিলো? পুলিশের টহল না থাকার ফলে দুষ্কৃতীরা মূল সড়কে জাতি বিদ্বেষী সুড়সুড়ি সংক্রান্ত শব্দ রাস্তায় লিখতে সক্ষম হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ধারাবাহিক ভাবে ১৪টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দুষ্কৃতীরা চালিয়ে ছিলো অপারেশন। তখন কোথায় ছিল পুলিশ? এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবেন আইপিএস এসডিপিও সাহেবা সুধম্বিকা আর? কলই পাড়ার ঘটনার পর ৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তপ্ত হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিবেশ। তারপরও জেলার এসপি রমেশ যাদব ও এসডিপিও সুধাম্বিকা আরের ক্ষমতা হয় নি ঘটনার সঙ্গে জড়িত লোকজনকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে? তারা এখন নিজেদের খাকি উর্দির কালি ঝেড়ে ফেলতে সফট টার্গেট করছে সাংবাদিকদের।
এসডিপিও- র কথায়, এই সমস্ত ছবি ভাইরাল হলে দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তাই তিনি মিডিয়াকে বারন করেছেন ছবি ভাইরাল করতে। অথচ যারা এই জঘন্য ঘটনা সংঘটিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারছেন না খোদ এসপি রমেশ যাদব ও এসডিপিও সুদাম্বিকা আর। নিঃসন্দেহে এটা তাদের জন্য লজ্জাস্কর। সর্বোপরি রাজ্যের আরক্ষা দপ্তরের চরম ব্যর্থতা।