ডেস্ক রিপোর্টার,৩১ জানুয়ারি।।
         “WANSEA GET OUT, RED ZONE”-রাতের আধারে রাজ্যের প্রান্তিক রাজপথে এই কয়েকটি শব্দ লিখে শান্তির পরিবেশকে বিঘ্নিত করার নীল নকশা তৈরি করেছে কু-চক্রিরা। রাজ্যে পুনরায় ৮০ ও ৯০- র দশকের অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে জঙ্গলের অধিপতিরা। তারা তাদের কাজকর্মের মধ্য দিয়ে এমন বার্তাই ছড়িয়ে দিচ্ছে জনমনে। প্রশাসন বরাবর তাদের  প্রতি দূর্বল মনোভাব দেখাচ্ছে। দীর্ঘ বাম জামানায় কমিউনিষ্টরা জনজাতি তোষনের রাজনীতি করে গিয়েছে। তার ফল অবশ্যই পেয়েছে মেলারমাঠের লাল বাড়ি। এখন কৃষ্ণনগর গেরুয়া বাড়িও একই মনোভাব নিয়ে চলার চেষ্টা করছে। তার ফল স্বরূপ রাজমহল থেকে বাঙালি বিতারণের হুঙ্কার আসছে বারংবার। সর্বশেষে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে জঙ্গল মহলের কুশীলবরা সরাসরি ফের বাঙালিদের বিদেশি তকমা দিয়ে এডিসি ছাড়ার হুমকি দিয়েছে।


রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে স্বাধীন ত্রিপুরার ফেরিওয়ালারা অসহায় বাঙালিদের রক্ত ঝরিয়েছে। একের পর এক গণহত্যা সংগঠিত করেছে। কিন্তু তাতে কোনো রাজনৈতিক দলের কিছু আসে যায় না।  বাঙালিও কিছু দিন পর ভুলে যায় এই সমস্ত ভয়ঙ্কর ঘটনার ক্ষত। শুধু মাত্র ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলি তাদের আদরের লোকজনকে হারিয়ে চেয়ে থাকে বিচারের দিকে। কিন্তু কোনও সরকারই আজ পর্যন্ত তাদেরকে বিচার পাইয়ে দিতে পারি নি। অথচ ভোটের রাজনীতির সময় বার বার এই সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলির মান বাঁচিয়ে দিচ্ছে বাঙালিরাই।


২৩- র নির্বাচনে চিত্র একে বারেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিজেপি, সিপিআইএমকে ভোট দেয় নি জনজাতিরা। তাদের সিংহ ভাগ ভোট চলে যায় প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথাতে। ২৪- র লোকসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন বেশ কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত করেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর থেকে শুরু করে পুলিশের সামনে বন দপ্তরের গাড়ি থেকে বনদস্যুকে ছিনতাই সহ কৃষ্ণপুর বিধানসভার কলই পাড়াতে “বিদেশী” বিতরণের ডাক। তারপরও নিশ্চুপ পুলিশ। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এখনো শনাক্ত করতে পারে নি পুলিশ। বা ইচ্ছাকৃত ভাবে করে নি। গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাসের উপর প্রাণ ঘাঁতী হামলা করেছিলো তিপ্রামথার প্রার্থী বীর লাল নোয়াতিয়া। আইন অনুযায়ী এই বাহুবলী মথার নেতার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি পুলিশ। একই ভাবে “গুন্ডা” এসডিপিও প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা নিরীহ এক চিকিৎসককে মারধর করেছেন। তার বিরুদ্ধেও আরক্ষা দপ্তর নীরব।


ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এখন সময় এসেছে, বাঙালিকে ফোঁস করার। ছোবলের প্রয়োজন নেই। রাজ্যের ভোটের রাজনীতিতে বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেস বাঙালিদের উপর নির্ভরশীল। তারপরও বাঙালিরা আক্রান্ত হলে সরকার মুখে কুলুপ এঁটে রাখবে। এবং তোষামোদ করবে জনজাতি গুন্ডাদের। এই পরিস্থিতিতে কোনো ঘটনা সংগঠিত হলে তার তীব্র প্রতিবাদ সহ ফোঁস করা আবশ্যক। তখনই ক্ষমতার মসনদে বসে থাকা দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের হুশ ফিরবে। অন্যথায় কালে কালেই বার্মিজ থেকে উড়ে আসা লোকজনের শিকার হতে হবে “স্বদেশী” বাঙালিদের। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই দশক পর ত্রিপুরাতে বাঙালিদের অবস্থা হবে অসম, মনিপুর ও মেঘালয়ে থাকা বাঙালিদের মতো। আর প্রতি মুহূর্তে জীবন কাটাতে হবে এক গভীর কালশিটে নিশ্চয়তার মধ্যে।
          
       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *